‘মানুষকে বড্ড হয়রান হতে হচ্ছে’, দুর্গা অঙ্গনের শিলান্যাসে তোপ দাগলেন মমতা

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে দুর্গা অঙ্গন তৈরির কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিউটাউনে তৈরি হতে চলেছে এই দুর্গা অঙ্গন। এদিন তার শিলান্যাসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম দুর্গা অঙ্গন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এই মন্দির। প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ মানুষ যাতে আসতে পারে, সেই টার্গেট নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোর দেওয়া স্বীকৃতি সংরক্ষিত করতেই এই মন্দির তৈরির উদ্যোগ।

দুর্গা অঙ্গনের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

কেমন হতে চলেছে এই দুর্গা অঙ্গন? মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৭.২৮ একরের জমি নেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হবে এই দুর্গা অঙ্গন। মন্দিরের মাঝের উঠোনে প্রায় হাজার লোকের বসার জায়গা হবে। সবুজ দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বর থাকছে। চারপাশ দিয়ে ২০ ফুট চওড়া রাস্তাও করা হচ্ছে। দুর্গা অঙ্গনে ১০০৮ টি স্তম্ভের পাশাপাশি নকশা করা খিলান থাকছে।মূল যে গর্ভগৃহ তার উচ্চতা হবে ৫৪ মিটার। শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে ১০৮ টি দেবদেবীর মূর্তি এবং ৫৪ টি সিংহমূর্তি বসানো হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

Mamata banerjee opened up about durga angan

কী কী থাকবে দুর্গাঙ্গনে: দুর্গা অঙ্গনে মূল মণ্ডপ ছাড়াও থাকবে সিংহ দুয়ার, পবিত্র কুণ্ড এবং প্রদক্ষিণ পথ। আলাদা আলাদা মণ্ডপ তৈরি হবে শিব, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীর। সমগ্র চত্বর জুড়েই থাকবে ৩০০-র বেশি গাছ। জানা যাচ্ছে, মাত্র ২০ শতাংশ জায়গায় এসি বসানো হবে। বাকি জায়গা জুড়ে থাকবে প্রকৃতির হাওয়া। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত ট্রাস্ট এই দুর্গা অঙ্গনের দেখভাল করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই দুর্গা অঙ্গনে ৩৬৫ দিনই মা দুর্গার পুজো হবে। নানান সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

 আরও পড়ুন : বাংলাদেশ সীমান্তে জোরদার নজরদারি ভারতীয় সেনার! ইউনূস সরকার দিল বড় বার্তা

গঙ্গাসাগর নিয়েও বলেন মুখ্যমন্ত্রী: তিনি আরও বলেন, দুর্গা মন্দিরের ট্রাস্টে যে টাকাটা জমা পড়েছে তাতেই মায়ের মূর্তির খরচ উঠে এসেছে। বাকি খরচ হবে হিডকো থেকে। আগামী ২ বছরের মধ্যে সেতু তৈরি করার কথাও বলেন মমতা (Mamata Banerjee)। কাউকেই আর জল পেরিয়ে যেতে হবে না গঙ্গাসাগর। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমি তোষণ করি না। আমি সঠিক অর্থে সেকুলার। আমি সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করি’।

আরও পড়ুন : LPG-র দাম থেকে ব্যাঙ্কিং ও কর সংক্রান্ত নিয়ম! ১ জানুয়ারি থেকেই হতে চলেছে এই ১০ টি পরিবর্তন

এদিন শিলান্যাসের অনুষ্ঠান থেকেই তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষকে বড্ড হয়রান হতে হচ্ছে। এক মাসে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। এটা আর সহ্য হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাংলায় থেকে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক প্রমাণ করতে হবে? নাগরিকত্বের সঙ্গে ভোটাধিকারের কী সম্পর্ক? প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।