বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় (India) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির (ডিএসিএস) সোমবারের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ৭৯ হাজার কোটি টাকার বিপুল সামরিক সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। আত্মনির্ভর ভারত নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও শক্তি বাড়বে ভারতীয় (India) সেনার!
এই বিপুল বিনিয়োগের আওতায় সেনাবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক লয়েটার মিউনিশন সিস্টেম (কামিকাজ়ে ড্রোন), হালকা ওজনের আধুনিক রাডার, পিনাকা মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেমের দীর্ঘ পাল্লার গোলাবারুদ এবং সমন্বিত ড্রোন শনাক্তকারী ব্যবস্থা কেনা হবে। এই সরঞ্জামগুলি সীমান্তে নজরদারি ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শত্রু লক্ষ্যে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতীয়দের টার্গেট করছে হাদির সংগঠন? বড় দাবি জানিয়ে ইউনূস সরকারকে দেওয়া হল ডেডলাইন
নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্যও ব্যাপক আধুনিকীকরণের পথ প্রশস্ত হল। কেনাকাড়ার তালিকায় রয়েছে ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক, ৩০ এমএম নেভাল সারফেস গান, উন্নত হালকা টর্পেডো, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম এবং ৭৬ এমএম সুপার র্যাপিড গানের জন্য উচ্চ বিস্ফোরক স্মার্ট গোলা। এসব প্রযুক্তি সমুদ্রপথে ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
এই অনুমোদন কেবল সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্যই নয়, দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন শিল্পের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অধীনে এই অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলির একটি বড় অংশ দেশেই তৈরি হবে, যা স্বদেশী প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:রয়েছে গুরুতর অভিযোগ! রিলায়েন্সের কাছ থেকে ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইল সরকার
সামগ্রিকভাবে, চিন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিপক্ষদের মোকাবিলায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত রাখতে এবং ভবিষ্যতের যে কোনো চ্যালেঞ্জের জন্য আগাম সক্ষমতা গড়ে তুলতেই এই বিপুল বিনিয়োগ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়েই গৃহীত হয়েছে।












