বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা ভোটের আবহে শিরোনামে অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অম্বানি, আদানি টাকা দিলে আর খারাপ কথা বলব না, সম্প্রতি এমনই একটি মন্তব্য করে চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার সাক্ষাৎকারের কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপিং শেয়ার করে তোপ দেগেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
রবিবাসরীয় দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অধীর রঞ্জনের সাক্ষাৎকারের একটি ছোট্ট অংশের ভিডিও শেয়ার করেন বিজেপি (BJP) নেতা। ৩৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস নেতাকে সাক্ষাৎকারগ্রহীতা বলছেন, ‘আপনি তো সংসদে দাঁড়িয়ে অম্বানি, আদানিকে আক্রমণ করেন, খারাপ কথা বলেন’। সেকথা শুনে অধীর রঞ্জন বলেন, ‘অবশ্যই বলি, টাকা পাঠায় না বলে বলি। পাঠালে চুপ করে যেতাম’।
The acts of Congress’s Adhir Ranjan Chowdhury are nothing less than political extortion.
In his recent interview, he unmasks Congress and says that they will stop attacking Adani-Ambani the moment they give money to the Congress. Of the two, Rahul Gandhi has already stopped… pic.twitter.com/Mwe4SxKQAF
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) May 12, 2024
বহরমপুরের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর জবাব শুনে হেসে ওঠেন সাক্ষাৎকারগ্রহীতা। হাসতে হাসতেই তিনি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আপনি বলছেন টাকা পাঠালে আপনি চুপ করে যাবেন? উত্তরে একগাল হাসি নিয়েই অধীর রঞ্জন বলেন, ‘আগে তো পাঠাক, তারপর বিচার করব’।
আরও পড়ুনঃ CPM-র ‘হোলটাইমার’ হয়েই কোটিপতি! কত সম্পত্তির মালিক বাম প্রার্থী সৃজন? জানলে ভিরমি খাবেন
প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এই ভিডিও শেয়ার করেই সুর চড়িয়েছেন অমিত। বিজেপি নেতা লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কাজকর্ম রাজনৈতিক তোলাবাজির থেকে কিছু কম নয়। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে উনি কংগ্রেসের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। উনি বলেন, অম্বানি, আদানি কংগ্রেসকে যে মুহূর্তে টাকা দেবেন, উনি সেই মুহূর্ত থেকে ওনাদের আক্রমণ করা বন্ধ করে দেবেন। দু’জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই একজনকে নিশানা করা বন্ধ করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী’।
এরপর তৃণমূল নেত্রী তথা কৃষ্ণনগরের জোড়াফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে অধীর রঞ্জনের তুলনা টেনে অমিত লেখেন, ‘তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যে কাজ করেছিলেন আর এই কাজটা বলতে গেলে একই। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে দুবাইয়ের একজন ব্যবসায়ীর থেকে টাকা এবং দামি দামি উপহার নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছিল’।