শ্রীরামপুরে কল্যাণকে বুথে ঢুকতে বাধা জওয়ানের! পাল্টা যা করলেন তৃণমূল প্রার্থী … শোরগোল!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাজ্যের একাধিক হাইভোল্টেজ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল শ্রীরামপুর। হুগলি জেলার এই আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে বলে অনুমান করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বিদায়ী সাংসদ এবং শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এবার তাঁকেই বুথে ঢুকতে বাধা দিল এক জওয়ান।

আজ সকাল থেকেই শ্রীরামপুরের (Serampore) নানান বুথে বুথে ঘুরছেন কল্যাণ। এদিন শ্রীরামপুরের চাকুন্ডি হাই স্কুলে যান তিনি। সেখানে তখন ভোটগ্রহণ চলছিল। তৃণমূল প্রার্থী তখন ভেতরে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেন বুথে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। তা দেখে হিন্দিতে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বলেন, ‘আরে আমি এখানকার প্রার্থী’।

একথা বলার কিছুক্ষন পর বুথের ভেতর প্রবেশ করতে যান কল্যাণ। অভিযোগ, এদিন ভোট (Lok Sabha Election) চলাকালীন তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী বুথে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এরপর নিজের কার্ড দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে বাধ্য হন তিনি। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টিকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ।

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের! এক রায়ে রাতের ঘুম উড়ল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

চাকুন্ডি হাইস্কুলে ঢুকতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থেকে বাধা পেয়ে কল্যাণ বলেন, ‘ওঁরা কীভাবে ভোট করছেন তাহলে বুঝতে পারছেন? যদি আমায় আটকায়, তাহলে কতজন ভোটারকে আটকাবে সেটা বুঝতে পারছেন? সব নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের লোক। এভাবে হারাতে পারবে নাকি?’

Kalyan Banerjee TMC candidate Serampore

আজ শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানান এলাকায় ভোট চলছে। সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরছেন প্রার্থীরা। বাঁকড়ার মুন্সিডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেমন সিপিএমের একজন এজেন্টকে চুলের মুঠি টেনে উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভোট দিতে আসা সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে। সেকথা কানে আসতেই বাঁকড়ার ওই বিদ্যালয়ে ছুটে যান শ্রীরামপুরের বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর