বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজকাল প্রত্যেকের কাছে দু চাকা বা বাইকের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি লোনে অর্থাৎ মাসিক কিস্তিতে বাইক কেনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছেন স্টেট ব্যাঙ্ক। SBI Super Bike Loan Scheme থেকে আপনি টাকা পেতে পারেন কিস্তিতে বাইক কেনার জন্য। এই লোনের সুবিধা কারা পাবেন? আবেদন পদ্ধতি কী? দেড় লক্ষ টাকার লোন নিলে কত টাকা করে দিতে হবে ইএমআই? সবকিছুর বিবরণ জেনে নেব এই প্রতিবেদনে।
বাইকের অন-রোড মূল্যের নূন্যতম ১৫ শতাংশ মার্জিন আবশ্যক এসবিআই সুপার বাইক লোন স্কিমে। ২১ বছর থেকে ৫৭ বছর বয়সীরা এই লোনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১.৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হচ্ছে এই স্কিমে। লোন পরিশোধ করার জন্য সর্বোচ্চ চার বছরের সময়সীমা দেওয়া হচ্ছে।
আরোও পড়ুন : টাকা তুলতে আর যেতে হবে না ATM! বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন, কীভাবে? জানুন
স্টেট ব্যাংক (State Bank of India) থেকে বাইক লোন নিলে ১২.১৫ শতাংশ থেকে ২০.৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হবে আপনাকে। সুদের হার নির্ভর করবে সিবিল স্কোর ও আপনার কাজের উপর। যদি আপনি ১৩.১৫ শতাংশ সুদের হারে স্টেট ব্যাংক থেকে দেড় লক্ষ টাকার বাইক লোন নেন, তাহলে কত টাকা করে মাসিক কিস্তি দিতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরোও পড়ুন : পাশে নেই ভারত! জলের হাহাকার মলদ্বীপে, মইজ্জুর ‘গুড বুকে’ থাকতে সাহায্য করল এই দেশ
SBI Super Bike Loan স্কিম থেকে ১৩.১৫ শতাংশ সুদের হারে ধরে নিন আপনি দেড় লক্ষ টাকার বাইক লোন পেয়েছেন। আপনি যদি দু’বছর সময়সীমা বেছে নেন লোন পরিশোধ করার জন্য, তাহলে আপনাকে প্রতিমাসে ইএমআই বাবদ দিতে হবে ৭,১৪২ টাকা। আপনাকে মোট ১,৭১,৪০৪ টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সুদ হিসেবে অতিরিক্ত ২১,৪০৪ টাকা প্রদান করতে হবে।
যদি আপনি তিন বছর লোন শোধের সময়সীমা নেন তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে দিতে হবে ৫,০৬৫ টাকার EMI। সেক্ষেত্রে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে মোট ১,৮২,৩৩৮ টাকা। চার বছরের সময়সীমার জন্য লোন নিলে প্রতি মাসে ইএমআই বাবদ দিতে হবে ৪,০৩৫ টাকা। সেক্ষেত্রে আপনাকে মোট ১,৯৩,৬৯৪ টাকা পরিশোধ করতে হবে। চার বছর আপনাকে মোট সুদ দিতে হবে ৪৩,৬৯৪ টাকা।
রাজ্য সরকারি ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, সরকার আন্ডারটেটিং সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা আবেদন করতে পারবেন এই লোনের জন্য। এছাড়াও বাইক লোনের জন্য আবেদন জানাতে পারেন ব্যবসায়ী ও কৃষি কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাও। বেতনভোগী/পেনশনভোগী ব্যাক্তিদের এবং ব্যাবসায়ীদের বার্ষিক আয় সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা ও কৃষিবিদদের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকা হতে হবে আবেদন জানানোর জন্য।