বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে অসংখ্য দেশ। প্রত্যেকটি অঞ্চলের সংস্কৃতি, মানুষের জীবনধারা একে অন্যের থেকে আলাদা। যত সময় যাচ্ছে ততই মানুষের জীবনধারা পাল্টাচ্ছে। তবে পৃথিবীর এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানকার মানুষ বজায় রেখে চলেছেন অতি প্রাচীন ঐতিহ্য। এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যেখানকার মানুষদের মধ্যে ঢুকে রয়েছে কুসংস্কার বা ভয়।
সেই ভয় বা কুসংস্কারের কারণে তারা এখনো পালন করে আসেন কিছু রীতিনীতি। অধিকাংশ মানুষই ঘুমোতে যাওয়ার সময় বন্ধ করে দেন ঘরের লাইট বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য। তবে জানেন পৃথিবীতে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানকার মানুষরা রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাইট (Light) বা টিভি (Television) বন্ধ করেন না?
আরোও পড়ুন : ভারতের হাতে তৃতীয় পদক! ৫০ মিটার শ্যুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতলেন স্বপ্নিল কুসলে, প্রথম অলিম্পিকেই হল বাজিমাত
এখানকার মানুষরা প্রতিমুহূর্তে থাকেন আতঙ্কে। প্রতিটা মুহূর্ত ভয়কে সঙ্গী করে কাটান জীবন। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) একটি ছোট দ্বীপ ইয়ংপিয়ং (Yongpyong)। একটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এই দ্বীপের মানুষের মনে নেই একটুও সুখ ও শান্তি। এখানকার মানুষেরা জরুরী অবস্থার জন্য সব সময় তৈরি থাকেন।
আরোও পড়ুন : স্টার জলসা থেকে জি বাংলা, এবার কোন চ্যানেলে দুর্গা হচ্ছে কে? মহালয়ার আগেই বিরাট আপডেট!
আমরা অনেকেই জানি দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) সবথেকে বড় শত্রু রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া থেকে ইয়ংপিয়ং (Yongpyong) মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই দ্বীপের বাসিন্দাদের উপর চলতি বছরের শুরুতেই গুলি চালায় উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার কামানের গোলা থেকে বাঁচতে এখানকার মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন বোমা শেল্টারে।
এর আগে ২০১০ সালেও এরকম একটি হামলায় বেশ কিছু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এখানে তাই প্রশাসনের তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে কিছু বোমা শেল্টার। এক সপ্তাহের খাবার, চিকিৎসা সুবিধা, বিছানা, শাওয়ার, এবং গ্যাস মাস্কসহ একাধিক সুবিধা রয়েছে এই শেল্টারগুলিতে (Shelter)।
উত্তর কোরিয়ার হামলার ভয়ে সব সময় কাঁটা হয়ে থাকেন এখানকার মানুষজন। এখানকার মানুষ মনে করেন রাত্রিবেলা অতর্কিতে হামলা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। তাই যাতে গভীর ঘুম না হয় সেই জন্য এখানকার মানুষরা লাইট ও টিভি চালিয়ে ঘুমাতে যান। জরুরী পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যাতে তারা সতর্ক হতে পারেন সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।