বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে এদেশের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না হয়। উনুন কিংবা স্টোভে রান্না করার চল এখন প্রায় নেই বললেই চলে। এবার এই রান্নার গ্যাস (LPG Gas) নিয়েই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে জালিয়াতি রুখতে বিরাট পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের।
গ্যাস সিলিন্ডার (LPG Gas) নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র?
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার গ্যাস সংক্রান্ত জালিয়াতির খবর সামনে এসেছে। ডোমেস্টিক সিলিন্ডার বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে প্রচুর। এবার এই বিষয়টি রুখতেই নতুন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বিগত প্রায় ৮ মাস ধরে গ্যাস কানেকশনের সঙ্গে বায়োমেট্রিক যুক্ত করার কাজ চলছে। এর ফলে গ্যাস সম্বন্ধিত জালিয়াতি আটকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের সঙ্গে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডারের একাধিক পার্থক্য রয়েছে। আকার, আয়তনের পাশাপাশি দুই ধরণের সিলিন্ডারের (LPG Gas Cylinder) দামও আলাদা। বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘরের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের চেয়ে অনেকটাই বেশি। তাই বহু হোটেল, রেস্তোরাঁয় দেখা যায়, ডোমেস্টিক সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিষয়টি রুখতেই এবার নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুনঃ ‘৭ দিনের মধ্যে এনকাউন্টার করে মারা উচিত’! আরজি কর কাণ্ডে বোমা ফাটালেন অভিষেক
একজন ভর্তুকিপ্রাপ্ত গ্যাস কানেকশনের উপভোক্তার সঙ্গে তাঁর আধার কার্ড যুক্ত থাকে। সেই সকল গ্রাহকের আধার কার্ড এবং বায়োমেট্রিক গ্যাস কানেকশনের সঙ্গে যোগ করার কাজ চলছে। এর ফলে উপভোক্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে চলে আসবে বলে খবর। ফলে ভর্তুকি যুক্ত ওই সিলিন্ডার কে, কীভাবে, কোথায় ব্যবহার করছেন তা জানতে সুবিধা হবে সরকারের (Central Government)।
এই নিয়ম কেবলমাত্র ভর্তুকিযুক্ত গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য। যে সকল উপভোক্তা ভর্তুকি পান না, তাঁদের এই তথ্য না দিলেও হবে। এক্ষেত্রে ভর্তুকি সম্বন্ধিত গিভ আপ ফর্ম ফিল আপ করে তা গ্রাহকদের জানানোর দায়িত্ব থাকবে ডিস্ট্রিবিউটরদের ওপর। এর ফলে একদিকে যেমন ভুয়ো উপভোক্তাদের বাতিল করা সম্ভব হবে, তেমনই ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের (LPG Gas) কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহারও আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।