২১ বছর বয়সে বিনা কোচিংয়ে UPSC-তে ১৩ র‍্যাঙ্ক, তবুও বিদূষী হলেন না IAS-IPS! কারণ জানলে গর্ব হবে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মানুষ সবসময় যেটা চায় সেটাই পাবে এটা একেবারে ভুল। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, পরিবারের ইচ্ছের সামনে নিজেদের ইচ্ছে অনেক সময় ফ্যাকাশে হয়ে যায়। সেই সময়ে পরিবারের সদস্যদের চোখে দেখা স্বপ্নের সামনে নিজের স্বপ্নগুলোকে ঠুনকো মনে হতে শুরু করে। তেমনি এক কাহিনি বলব বিদূষী সিংকে নিয়ে। যিনি ২১ বছর বয়সে UPSC-তে ১৩ তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তাও আবার কোনও কোচিং ছাড়া। প্রথম প্রচেষ্টায় করেছিলেন সফলতা অর্জন (Success Story)। কিন্তু, তবুও তিনি হননি IAS কিংবা IPS অফিসার।

বিদূষী সিংয়ের সাফল্যের কাহিনি (Success Story):

IAS কিংবা IAS অফিসার হওয়া (Success Story) সকলের কাছে স্বপ্নের বিষয়। বছর বছর সকলে এই পরীক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যান। কিন্তু তারপরও সফলতা অর্জন করতে পারেন। তবে বিদূষী সিং ইনিই যেনো সকলের ঊর্ধ্বে। দাদু-দিদার স্বপ্ন রাখতে এত বড় উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে তিনি যুক্ত হয়েছেন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে। যদিও এই কাজ করে তিনি কয়েকগুণ বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

   

UPSC success story of Vidushi Singh.

নিজের অধ্যয়নের জোরে অর্জন করেছেন একের পর এক পদ: বিদূষী রাজস্থানের যোধপুরে জন্মগ্রহণ করলেও, অযোধ্যার সঙ্গে তাঁর ছোটো থেকেই ছিল নাড়ির টান। বিদুষী ছোটো থেকেই অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্রী ছিলেন। একটা বিষয় বারবার তাকে বোঝাতে হতো না। স্কুল পাশ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী রাম কলেজ অফ কমার্সে ভর্তি হন। কলেজে পড়াকালীনই বিদূষী UPSC-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তবে পড়াশুনার জন্য এক টাকাও কোনও কোচিংয়ের জন্য খরচ করেননি। বরং পরিবর্তে নিজের মেধার জোরে একাই তিনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ায় কোন প্লেয়ারের সাথে লড়াই করেছেন রোহিত? রাখঢাক না রেখেই জানালেন আকাশ চোপড়া

যদিও এই বিষয়ে বিদূষী বলেছেন, তিনি কলেজে পড়াকালীন NCERT এবং অন্যান্য বইয়ের মাধ্যমে তাঁর প্রস্তুতির ভিতকেই সবথেকে শক্তিশালী করছিলেন। আর এইভাবে মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রথম প্রচেষ্টায় UPSC তে ১৩ তম স্থান অর্জন করেছিলেন। কিন্তু তিনি IPS কিংবা IAS অফিসার হননি। বরং নিজের ইচ্ছেকে চেপে রেখে তিনি হয়ে ওঠেন IFS অফিসার।

আরও পড়ুন: ১০ বছর পূর্ণ করল “মেক ইন ইন্ডিয়া” কর্মসূচি! “বিকশিত ভারত” গড়ার লক্ষ্যে বড় প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

দাদু-দিদার স্বপ্ন পূরণ: একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর দাদু-দিদার স্বপ্ন ছিল তিনি যেন ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে কর্মরত হন। আর দাদু-দিদার এমন স্বপ্ন দেখে নাতনিও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠেন যে তিনি এই স্বপ্নপূরণ (Success Story) করেই ছাড়বেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নিজের শ্রম ও দক্ষতার জেরে আজ তিনি এত বড় জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর