বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৫৪ শতাংশ নম্বর। এত কম নম্বর পাওয়ায় কোনও স্কুল বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি নিচ্ছিল না। তবে পুরুলিয়ার (Purulia) সেই ‘মধ্যমেধার’ ছাত্রই সবাইকে অবাক করে দিলেন জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম এমন মাইক্রো আরএনএ (এমআইআরএনএ) আবিষ্কার করে। বছর ছাব্বিশের পুরুলিয়ার পুঞ্চার যুবক সোমনাথ দত্তর এই আবিষ্কার গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে।
বিজ্ঞানী (Scientist) সোমনাথের বেনজির কীর্তি
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউটে বিজ্ঞান সম্মেলনে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, এমআইটি সহ নানা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা (Scientist) অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিবছর বিশ্বের মাত্র তিনজন গবেষক পড়ুয়াকে তাঁদের আবিষ্কার তুলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া হয় এই মঞ্চে। এবার সেই তিনজন যুব বিজ্ঞানীদের (Scientist) মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন ভারতের সোমনাথ। এলআইসির এজেন্টের কাজ করেন সোমনাথের বাবা কর্ণলাল দত্ত।
সোমনাথের মা ঘর-সংসার সামলান। সোমনাথের বাবা-মা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে সোমনাথ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তা কিন্তু নয়। নিজের অধ্যাবসা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সোমনাথ এই সাফল্য পেয়েছে। প্রায় একই কথা শোনা গেল সোমনাথের স্কুল শিক্ষকদের মুখেও। পুঞ্চার লৌলাড়া রাধাচরণ অ্যাকাডেমি থেকে ৫৪.৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে সোমনাথ দত্ত ২০১৫ সালে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন।
আরোও পড়ুন : ফের ফিরল পন্থের স্মৃতি! ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় আহত ভারতের তারকা ক্রিকেটার, খেলতে পারবেন না ম্যাচ
এত কম নম্বর পাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে সোমনাথকে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি নিতে চায়নি। অনেক অনুরোধের পর সোমনাথ বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সোমনাথ পাঁশকুড়া বনামালি অ্যাকাডেমিতে বায়োটেকনোলজিতে স্নাতক নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়। তারপর পুদুচেরি সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োটেকনোলজিতে মাস্টার্স ও দক্ষিণ কোরিয়ার পুসান ন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন সোমনাথ।
বিজ্ঞানী (Scientist) সোমনাথ একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রায় ৮৯ টি দেশে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। ভারতের কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রেও দেখা গেছে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ। মশার কামড়ে এক ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবাহিত হয় জিকা ভাইরাস। এই ভাইরাসের ফলে ‘গুলেন বারি সিনড্রোম’ হতে পারে। এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এই ভাইরাসের। এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে বেঁচে যাবে লক্ষ লক্ষ প্রাণ।