লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! এবার পুরুষরাও মাসে মাসে পাবেন ১০০০ টাকা! দুর্দান্ত প্রকল্প সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তেরো থেকে শুরু করে তিরাশি, রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর মধ্যে বহু প্রকল্পে (Government Scheme) আবার মাসে মাসে ভাতা দেওয়া হয়। এমনই একটি স্কিমের নাম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই স্কিমের অধীন সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা মাসিক ১২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। আজ যদিও এই প্রকল্প নয়, বরং রাজ্য সরকারের অন্য আর একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে।

  • মাসে মাসে ১০০০ টাকা দেবে সরকার (Government Scheme)!

ভারতবর্ষ হল কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের বহু মানুষের পেশা হল কৃষিকাজ। পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষও কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে অনেক সময়ই শোনা যায়, সারা বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও সংসার টানতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান অনেক কৃষক। এবার তাই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে নতুন প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। কৃষক ভাতা স্কিমের মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে উপভোক্তাদের।

   

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদন করতে ইচ্ছুক কৃষকদের অবশ্য বেশ কয়েকটি যোগ্যতামান পূরণ করতে হবে। তাহলেই মাসে মাসে মিলবে ভাতা। আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা অন্তত ১০ বছর থাকতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছরের অধিক হতে হবে। তবে তফশিলি জাতি ও উপজাতির শ্রেণির ক্ষেত্রে ৫৫ বছর হলেও অ্যাপ্লাই করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ ‘এটা কোনও কফিশপ না’! আইনজীবীর মুখের ভাষায় চটে লাল প্রধান বিচারপতি, তুমুল ভর্ৎসনা

আবেদনকারী কৃষকের নামে সর্বাধিক ১ একর জমি থাকতে পারে। ভূমিহীন খেমায়ুর হলেও এই স্কিমে আবেদন করা যাবে এবং কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগেই যদি কোনও ভাতা (Krishak Bhata) পেয়ে থাকেন তাহলে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে না।

Government scheme for farmers

জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের এই স্কিমে মূলত অফলাইনে আবেদন করা হয়। তবে কেউ যদি চান, তাহলে অনলাইন থেকেও আবেদনপত্র ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এরপর সেই ফর্ম ফিল আপ করে স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিস কিংবা মহকুমা অফিসে করে জমা দিয়ে দিতে হবে।

কৃষক ভাতা প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদনের জন্য অবশ্য বেশ কিছু নথিপত্র লাগবে। আবেদনকারীর আধার কার্ড অথবা রেশন কার্ড, জমির মালিকানার প্রমাণপত্র, শারীরিক অক্ষমতা থাকলে তার শংসাপত্র, স্থানীয় অঞ্চল প্রধানের শংসাপত্র, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকদের থেকে অন্য স্কিমে টাকা না পাওয়ার সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্কের পাসবই এবং অ্যাক্টিভ মোবাইল নম্বর দরকার হয়।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর