বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো মিটতে না মিটতেই রাজ্যে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা। কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে নয়াদিল্লির মৌসম ভবন। কোথায়, কবে ল্যান্ডফল? ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেই খবর।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল কোথায়?
নয়াদিল্লির মৌসম ভবন বাংলা-ওড়িশা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২৪ অক্টোবর বাংলা-ওড়িশার কাছে এই ঘূর্ণিঝড় পৌঁছতে পারে। বাংলা-ওড়িশার উপকূলের কোথাও ‘দানা’র ল্যান্ডফল হতে পারে বলে পূর্বাভাস।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটির শক্তিবৃদ্ধি হবে বলে খবর। এরপর বুধবারের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস শুনে কেউ কেউ মনে করছেন, কালীপুজোর আগেই রাজ্যে ফের ঝড়বৃষ্টির (Rainfall Alert) ‘খেল’ শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ফেঁসে গেলেন সন্দীপ? ডিলিট করা সব কিছু পেয়ে গেল CBI! আরজি কর কাণ্ডে বিরাট মোড়?
এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। ‘দানা’ কথার অর্থ হল মুক্ত। এই ঘূর্ণিঝড় কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে অথবা কোথায় এটির ল্যান্ডফল হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের কোথাও এটির ল্যান্ডফল (Landfall) হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উপকূল অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে। সমুদ্র উত্তাল হবে। সেই কারণে মৎসজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) সাক্ষী থেকেছে বাংলা। কয়েক বছর আগের আমফান থেকে শুরু করে চলতি বছরের রেমাল, সেই তালিকায় একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের নাম রয়েছে। এবার চোখ রাঙাচ্ছে ‘দানা’। ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানোর জন্য ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে আবহাওয়া দফতর।