বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ! মাসে মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা! দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্য সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল মানুষের জন্যই নানান রকম প্রকল্প চালু করেছে সরকার। মহিলাদের জন্য যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী রয়েছে, তেমনই ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে তরুণের স্বপ্ন। রাজ্য সরকারের এই জনদরদী প্রকল্পগুলির (Government Scheme) মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। আজ এমনই একটি স্কিম নিয়ে আলোচনা করা হবে, যেখানে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মিলবে মাসে মাসে টাকা।

  • ফ্রি প্রশিক্ষণ, মিলবে টাকা! দারুণ প্রকল্প (Government Scheme) রাজ্য সরকারের

চলতি বছর লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতেই রাজ্যের পড়ুয়াদের বড় সুখবর দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই বাংলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল যোগ্যশ্রী (Yogyashree Scheme)। এতদিন অবধি এই স্কিমের অধীন রাজ্যের তফশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশিক্ষণের সুবিধা পেতেন। তবে চলতি বছর ঘোষণা করে জানানো হয়, এবার থেকে সাধারণ, সংখ্যালঘু এবং ওসিবি শ্রেণির পড়ুয়ারাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পের অধীন তফশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণির পড়ুয়াদের পাশাপাশি সাধারণ, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ট্রেনিং পাবেন পড়ুয়ারা। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৫০টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একাদশ শ্রেণি থেকেই মিলবে এই প্রশিক্ষণ। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে…! ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে চেয়ে বিপাকে সন্দীপ? বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের 

রিপোর্ট অনুযায়ী, যোগ্যশ্রী প্রকল্পে মেধার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে ২০০০ জন ছাত্রছাত্রীকে নির্বাচন করা হবে। এরপর তাঁদের ২০২৫ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই সময়কালে মাসে মাসে ৩০০ টাকা করে স্টাইপেন্ডও পাবেন ওই পড়ুয়ারা। তবে এই প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদন করতে গেলে মাধ্যমিকে অন্তত ৫০%-৬০% নম্বর থাকতেই হবে।

Government scheme

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে (Government Scheme) অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। প্রথমে ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে তা পূরণ করে নিতে হয়। এরপর সেটা বাড়ির কাছের সেন্টারে গিয়ে জমা করে দিতে হয়। ওয়েবসাইটেই সেন্টারগুলির নাম উল্লেখ করা থাকে। এছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও এই প্রকল্পের আবেদনপত্র পাওয়া যায়।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর