বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমানে দাপট বাড়াচ্ছেন অনুব্রত! প্রথমে কোর কমিটির সদস্যদের ছাড়া বিজয়া সম্মিলনী আর এবার কোর কমিটির সদস্য না হয়েও জেলা কমিটির ও কোর কমিটির বৈঠক ডাকবেন বলে ঘোষণা করে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাহলে কি ফের স্বমহিমায় ফিরছেন বীরভূমের বাঘ? উঠছে প্রশ্ন।
মঙ্গলবার বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখান থেকেই কেষ্ট বলেন, ”আগে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো মিটে যাক, তারপর আমি জেলা কমিটির মিটিং ডাকব। কোর কমিটির মিটিং ডাকব। তার পর কলকাতা যে ভাবে বলবে, সে ভাবে চলব।” এদিকে জেলা কমিটিতে রদবদলের ইঙ্গিতও দিয়েছেন কেষ্ট।
বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকেই তিনি বলেন, কালীপুজো-ছটপুজো হয়ে গেলে বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। প্রয়োজনে কিছু পরিবর্তন আনা হবে। এখানেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোর কমিটি থাকা সত্ত্বেও ফের জেলার রাশ একাই ধরতে চলেছেন কেষ্ট?
অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের এক কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা। রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এবং তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষকে নিয়ে গঠিত হয় সেই কমিটি। যদিও কেষ্ট জেল থেকে ফেরত এলেও এখনও সেই কোর কমিটি রয়েছে।
গরু পাচার মামলায় প্রায় দু’বছর জেলে ছিলেন অনুব্রত। সেই সময়ের মধ্যে অনুব্রতর ‘চেয়ার’ কাউকে না দিলেও সব ক্ষমতা ছিল কোর কমিটির হাতেই। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনেও ভালো মতো দায়িত্ব সামলেছে সেই কোর কমিটি। জেলায় বিপুল ভোটের জয়ী হয়েছে তৃণমূল। অনুব্রত ফিরে একা বিজয়া সম্মিলনী করায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী কেষ্টকে কোর কমিটিকে সাথে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ’২২ নভেম্বরের মধ্যে…’! সন্দীপের লাইসেন্স বাতিল! মামলা হতেই তোলপাড় করা নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিকে কোর কমিটির সদস্য তথা বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ অবশ্য জানিয়েছেন, সকলে মিলেমিশে বৈঠক করবেন। তিনি আরও বলেন, কোর কমিটির আহ্বায়কদের সঙ্গে অনুব্রতের কথা হয়েছে। সকলেই সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। কারও সঙ্গে কারও দূরত্ব নেই। তবে গত ২৪ অগস্টের পর কোর কমিটির বৈঠক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছিলেন মাসে চারটে মিটিং করতে। কোনো কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। কালীপুজোর পর মিটিং ডাকা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।