বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেলপথে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া যেতে যতখানি সময় লাগতো, তা এবার কমতে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যাত্রাপত্র হ্রাস পাওয়ার খবর। জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেললাইনকে (Indian Railway) বর্ধমান কর্ড শাখার সঙ্গে যুক্ত করার কাজ প্রায় শেষের পথে। এর ফলে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার যাত্রাপথ হ্রাস পাবে। যে কারণে সুরাহা হবে অগুনতি মানুষের। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
রেলপথে (Indian Railway) হাওড়া থেকে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার দূরত্ব হ্রাস নিয়ে কী বললেন সৌমিত্র?
রেলওয়ে সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়া থেকে খড়গপুর হয়ে হাওড়ার দূরত্ব হল ২৩১ কিমি। তবে নয়া রেলপথের কারণে এই দূরত্ব একধাক্কায় অনেকখানি কমে যাবে। ২৩১ কিমির পরিবর্তে তা ১৮৫ কিমি হয়ে যাবে বলে খবর। সেই সঙ্গেই আদ্রা থেকে হাওড়ার (Howrah) দূরত্বও আগের চেয়ে হ্রাস পাবে। আগে যেখানে দূরত্ব ছিল ২৮৫ কিমি, সেটা এখন হয়ে যাবে ২৩৯ কিমি।
হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মশাগ্রাম থেকে শক্তিগড় স্টেশন অবধি অটো সিগন্যালিং ব্যবস্থার কাজ সম্পন্ন হবে। এর ফলে ৮ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে কবিগুরু এক্সপ্রেস, রামপুরহাট সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, গণদেবতা এক্সপ্রেস, আসানসোল-সিউড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-সিউড়ি মেমু ট্রেন রয়েছে’। এর পাশাপাশি বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন (Indian Railway) ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোন কোন ট্রেন ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হবে সেটাও জানিয়েছেন হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার।
আরও পড়ুনঃ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় খবর! হয়রানি দূর করতে বিরাট পদক্ষেপ SSC-র! জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি
এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, ‘সফলতার চাবিকাঠি একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, জঙ্গলমহলের মানুষের এটা দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, সেটা আজ সম্পন্ন হল। আজ আমি খুব আনন্দিত। আমার ৯ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের সফলতা পেলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ বিষ্ণুপুর লোকসভাবাসীর স্বপ্ন তথা আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে’।
জানা যাচ্ছে, আগামী ১৪ নভেম্বর এবং ১৭ নভেম্বর হাওড়া কর্ড রেললাইনের (Indian Railway) সঙ্গে বাঁকুড়া মশাগ্রাম রেল লাইন সংযুক্ত হবে। ডিআরএম এই নিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি হাওড়া-বাঁকুড়া নয়া রুটে ট্রেন চালাবে রেল দফতর। অটো সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার জন্য মশাগ্রাম স্টেশন দিয়ে মেল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে রেল লাভবান হবে।