বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত অ-হিন্দু কর্মচারী রয়েছেন তাঁদের স্বেচ্ছায় অবসর নিতে হবে। জগৎ বিখ্যাত তিরুপতি (Tirupati Temple) তিরুমালা মন্দির ট্রাস্টের এই সিদ্ধান্তে কার্যত তোলপাড় গোটা দেশ। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি বিআর নাইডু জানিয়েছেন অ-হিন্দু কর্মচারীদের সরে যেতে উপযুক্ত সময় দেওয়া হবে। এই মন্দির (Tirupati Temple) থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা অন্য কোন সরকারি দপ্তরেও সরে যেতে পারেন।
তিরুপতি মন্দিরে (Tirupati Temple) কাজ করতে পারবেন না অ-হিন্দু কর্মীরা
তবে বছরের পর বছর ধরে এই মন্দিরের (Tirupati Temple) কর্মরত অ-হিন্দু কর্মচারীদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কিংবা কেন তাদের পুজোর কাজ-কর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো মন্ত্যব্য করেননি নব নির্বাচিত সভাপতি বিআর নাইডু। শুধু তাই নয়, মন্দির সিদ্ধান্তে কোপ পড়তে চলেছে দেব-দর্শনের সময়-সীমাতেও।
এপ্রসঙ্গে বি-আর নাইডু জানিয়ে দিয়েছেন মন্দিরের পরিবেশ রক্ষা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল করতেই দেব দর্শনের সময় দু-তিন ঘণ্টা কমানো হতে পারে। শুধু তাই নয় একইসঙ্গে মন্দিরের বাইরে কোন অ-হিন্দু দোকানদার আর পসরা সাজিয়ে বসতেও পারবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে মন্দির ট্রাস্ট।
মন্দিরের ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের যুক্তি বহুদিন ধরেই হিন্দু ভক্তদের তরফে এই সমস্ত পরিবর্তনের দাবি করা হচ্ছিল। তাই সেগুলিকে ট্রাস্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে। জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এই মন্দিরের অ হিন্দু কর্মচারীদের নিয়ে সরানোর প্রশ্ন উঠল কি করে?
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে তিন দশকের পুরনো নিয়ম! বিরাট পদক্ষেপ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের
আসলে এই বিতর্কে সূত্রপাত হয় মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে বিক্রি হওয়া লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানো ঘি ব্যবহার করা নিয়ে। তারপরেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু অভিযোগ করেন আগের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারের সময় থেকেই এই মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে অনাচার চলছে। তবে এ-বিষয়ে সাফাই দিয়ে তিরুপতিমন্দির কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন প্রসাদের লাড্ডু তৈরিতে এবার থেকে যাতে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ ঘি ব্যবহার করা হয় সেটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা।
অন্যদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছে তিরুপতি মন্দিরের ট্রাস্ট। সূত্রের খবর বিশ্ব বিখ্যাত এই তিরুপতি মন্দিরের স্থায়ী কর্মচারী সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার। এছাড়াও এই মন্দিরের কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার অস্থায়ী কর্মচারী। তাদের মধ্যে অ-হিন্দু কর্মচারীদের সংখ্যা প্রায় ৩০০। জানা যাচ্ছে, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে এই মন্দিরের মোট ২১ হাজার কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয় ভক্তদের দানের টাকাতেই।