বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে বেআইনি হোর্ডিংয়ের (Illegal Hoarding) দাপট। সম্প্রতি শহর কলকাতার চিনার পার্কের একটি বহুতলে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ফ্ল্যাটের মালিক শ্রী পৃথ্বীশ দাশগুপ্তের আইনজীবী ইতিমধ্যেই এই মর্মে বিধাননগর পুরসভা এবং বিধাননগর সিটি পুলিশকে চিঠি পাঠিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
চিনার পার্কের আবাসনের ছাদে অবৈধ হোর্ডিং(Illegal Hoarding)!
জানা যাচ্ছে, বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar Municipal Corporation) ১২ নম্বর ওয়ার্ডে স্থিত জিপিএস টাওয়ারে এই অবৈধ হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ের ছয় তলায় একটি ৪ BHK ফ্ল্যাট রয়েছে পৃথ্বীশবাবুর। সেই ফ্ল্যাটের ছাদেই একটি অবৈধ হোর্ডিং লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিধাননগর পুরসভা এবং বিধাননগর সিটি পুলিশে দেওয়া চিঠিতে পৃথ্বীশবাবুর আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের ফ্ল্যাটের ছাদে একটি অবৈধ লোহার কাঠামো বসানো হয়েছে। তাতে লাগানো রয়েছে অসংখ্য হোর্ডিং। এর জন্য আগে থেকে অনুমতি কিংবা এনওসি কিছুই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাই পৃথ্বীশবাবুর (Prithwish Dasgupta) আর্জি, অবিলম্বে ওই অবৈধ কাঠামো সরানো হোক এবং এই কাজ যারা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এই নিয়ে অভিযুক্ত বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে বাংলা হান্টের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে পাল্টা পৃথ্বীশবাবুর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করা হয়। একইসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, অনুমতি ছাড়া কি এমনটা করা সম্ভব? অন্যদিকে পৃথ্বীশবাবুর দাবি, আমার কোনও লিখিত অনুমতি, পৌরসভার অনুমতি ছাড়া এবং লোড বিয়ারিং ক্ষমতা না দেখেই আমার কার্নিশের ওপর বৃহদাকার লোহার কাঠামো বসানো হয়েছে। এতে আমার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শহরের বাইরে থাকি বলে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ওই ফ্ল্যাটের মালিক।
আরও পড়ুনঃ অবিলম্বে অপসারণ! রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের! কার কপাল পুড়ল?
এদিকে ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানার তরফ থেকে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলা হান্টের তরফ থেকে থানার আইসি অমিত কুমার দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট বলেন, যেটা অবৈধ (Illegal Hoarding), সেটা সরাতে হবে। এই নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
বাগুইআটি থানার আইসি বলেন, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অভিযুক্তের কাছ থেকে কাগজপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যদি কাগজপত্র থাকে, তাহলে আদালতে দুই পক্ষ মুখোমুখি হবে। অমিতবাবু জানান, এটি সিভিল ম্যাটার। এদেশের আইন অনুযায়ী, সিভিল ম্যাটারে পুলিশ নাক গলাতে পারে না। কিন্তু তাতেও যদি দেখা যায়, কারোর পক্ষে কিছু রয়েছে, তাহলে সেটাকে সরিয়ে দিতে বলা হবে। পরবর্তীতে তিনি চ্যালেঞ্জ করলে আদালতে দুই পক্ষ মুখোমুখি হবে বলে জানান বাগুইআটি থানার আইসি।