বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ডিএ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। এবারে তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে কেন্দ্রের কর্মীদের। এতদিন ৫০% হারে ডিএ পাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। এবার তা গিয়ে পৌঁছেছে ৫৩ শতাংশে। উল্লেখ্য, বছরে দু’বার নিয়ম করে সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কোভিডকালে সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) বৃদ্ধি থমকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ডিএ বৃদ্ধি সম্ভব হলেও কোভিডকালের ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ মেলেনি।
বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে বহুবার আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তরফে।
সংসদে দাঁড়িয়ে অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বারংবার জানিয়েছেন, বকেয়া ডিএ মেটানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে এরই মাঝে সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। এবার লক্ষ্মীলাভ হওয়ার সম্ভাবনা।
সম্প্রতি অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মীদের (Government Employees) প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। এরই মধ্যে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারির (স্টাফ সাইড) সচিব শিব গোপাল মিশ্র দাবি করলেন, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধি করা উচিৎ।
গোপাল মিশ্রর দাবি, এবার ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ করা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে পারে। ১৭,৯৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৫১ টাকা হতে পারে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন। উল্লেখ্য, পূর্বে সপ্তম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বেড়েছিল। তিনি আরও বলেন, যারা বলছে যে ন্যূনতম বেতন বেড়ে ৩৪-৩৫ হাজার হতে পারে, সেই সব ভিত্তিহীন। আরা ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ানোর দাবি জানাব। অন্তত ২.৮৬ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর করার দাবি জানাব।’
সপ্তম পে কমিশন গঠনের সময় ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বেড়ে ২.৫৭ হয়েছিল। সেই সময় ন্যূনতম বেতন ৭ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১৭ হাজার টাকা হয়। উল্লেখ্য, দেশে প্রথম বেতন কমিশন গঠিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। প্রতি দশ বছর অন্তর অন্তর একটি কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় দেওয়া সুপারিশগুলি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এবার দশ বছর হতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজই বদল শুরু আবহাওয়ার! শীত বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়: আবহাওয়ার খবর
সপ্তম পে কমিশন গঠনের সময় আন্তর্জাতিক শ্রম কমিশনের বিধি এবং ডঃ এইক্রয়ডের ফর্মুলার ভিত্তিতে ২৬ হাজার টাকা মাসিক ন্যূনতম বেতনের দাবি জানানো হলেও তা রাখা হয়নি। মাসিক ন্যূনতম বেতন মাত্র ১৮ হাজার টাকা রাখা হয়েছিল সেই সময়। সেই হিসেব মতো অষ্টম পে কমিশনে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন বা বেসিক পে ১৮ হাজার থেকে বেড়ে ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সবটাই সময়ের অপেক্ষা।