বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার (West Bengal) বিস্তীৰ্ণ এলাকায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে অনেক আগেই। ২০১৮ সালে প্রথম উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। জানা যায় এখানকার মোট ৫.৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে খনিজ তেল রয়েছে বলেই জানিয়েছিল ওএনজিসি। এছাড়াও রাজ্যের একাধিক জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে। যার মধ্যে অন্যতম রানাঘাট,কাঁকপুলের মতো এলাকা। জানা যাচ্ছে,সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে খনিজ তেলের বিরাট ভান্ডার।
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) খননকার্যের অনুমতি চেয়ে চিঠি কেন্দ্রের
সাধারণত খনিজ তেল দেশের সম্পত্তি বলেই বিবেচিত হয়। তবে কোন রাজ্যের (West Bengal) মাটির তলায় এই সম্পদ থাকলে কেন্দ্রকে সেখানে খননের জন্য রাজ্যের কাছ থেকে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ অর্থাৎ (পিএমএল) সংগ্রহ করতে হয়। তাই এটা নিয়ে মন্ত্রী কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী অভিযোগ জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) একাধিক জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে।
কিন্তু সেই সমস্ত জায়গায় খননকার্য চালানোর অনুমতি চেয়েও তা পাওয়া যায়নি। নিয়ম মেনে ২০২০ সালেই অশোকনগর থেকে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পিএমএল-এর আবেদন জানিয়েছিল খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন অর্থাৎ ওএনজিসি। অভিযোগ চার বছর সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার পিএমএল দেয়নি।
খননকার্য চালানোর জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি পেতে মোট ১৯ টি চিঠি পাঠিয়েছেকেন্দ্র সরকার। তার মধ্যে ১৪ টি এসেছে ওএনজিসি থেকে, এছাড়া সরাসরি তিনটি চিঠি রাজ্য সরকারকেপাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বনের তরফেও পাঠানো হয়েছে আরও দু’টি চিঠি। যদিও তারপরেও এখনও পর্যন্ত কোন উত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সিদ্ধান্তে দল চলবে না! কৌশলে নিজের হাতেই ক্ষমতার রাশ রাখলেন মমতা?
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যে পেট্রোলিয়াম শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তারই জবাবে রাজ্যকে পাঠানো চিঠিগুলির কথা জানিয়েছেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী।
কেন্দ্রের দাবি পশ্চিমবঙ্গে খনিজ তেলের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ১,০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। খননকার্যের মাধ্যমে যদি রাজ্যের মাটির তলা থেকে তেল উত্তোলন শুরু করা যায়, তাহলে সেখান প্রত্যেক বছর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮,১২৬ কোটি টাকা আয় হতে পারে। সেইসাথে রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে বলেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।