OBC মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! বাতিল হয়ে গেল সব সার্টিফিকেট? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগে ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) মামলায় সময় চেয়েছিল রাজ্য (West Bengal Government)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বাংলার OBC- মামলার শুনানিতে জবাব দেওয়ার জন্য রাজ্যের হয়ে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল। সোমবার দেশের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি ছিল। সেখানেই বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

গত মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।

এর আগে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে হাইকোর্টের নির্দেশে কোনো স্থগিতদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। যার কারণে নিজেদের ‘ওবিসি সার্টিফিকেট’ ব্যবহার করতে পারছেন না বহু মানুষ। এদিন রাজ্যের হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতে বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে মোট ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। বাংলায় মোট বাসিন্দার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু। যার মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম।

সিব্বল বলেন, রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। হাই কোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে ভিত্তি করে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে এদিকে সেই রাজ্যেই ওই রায় স্থগিত রয়েছে। এরপরই জাস্টিস বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

ওদিকে সিব্বল বলেন, পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে মুসলিম ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছে। যদিও রাজ্যের তৈরি সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে জাস্টিস কেভি বিশ্বনাথনের প্রশ্ন, কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। এক্ষেত্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে?

সিব্বল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা তৈরি করেনি। তারা শ্রেণিবিন্যাস করেছে মাত্র। মূল মামলাকারীর পাল্টা সওয়াল ওবিসিদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও সমীক্ষা করা হয়নি বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোনো তথ্য ছাড়া কোনো কমিশন গঠন না করেই ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

Supreme Court

আরও পড়ুন: ‘মারাত্মক অভিযোগ…’! ১১ জন সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারকে নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

এই সময়ই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, হাই কোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় সেই তথ্য পেশ করুক। রাজ্য নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? এদিন হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হলেও রাজ্যের আবেদনে সায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত এই মামলায় কোনও নির্দেশ তারা দেবে না। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর