বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম হল UPSC। প্রতিবছর হাজার হাজার প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই সাফল্য (Success Story) হাসিল করতে পারেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পরীক্ষার সফল হওয়ার পথটি অত্যন্ত কঠিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি এই পরীক্ষায় দু’বার সফল হয়ে নজির গড়েছেন।
অবাক করবে এই সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
মূলত, আজ আমার কেরালার পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমারের সফলতার কাহিনি উপস্থাপিত করব। তিনি IPS ট্রেনিং চলাকালীন UPSC পরীক্ষায় চতুর্থ অ্যাটেম্পট দিয়েছিলেন। আসলে, কিছুজন পদমর্যাদা ও চাকরিতে উন্নতির জন্য সরকারি চাকরি পেয়েও UPSC পরীক্ষা দেন। পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমারও সেটাই করেছেন। ২০২২ সালে UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, তিনি IPS ট্রেনিংয়ের জন্য শর্টলিস্টেড হন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়ে, তিনি ২০২৩ সালে আবার UPSC পরীক্ষা দেন। চতুর্থবারের পরীক্ষায় তিনি আরও ভালো ফলাফল করেন।
জানিয়ে রাখি, পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালের অগাস্টে আর্কিটেকচারে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকের শেষ বছরে তিনি UPSC পরীক্ষায় প্রথম চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তখন তিনি UPSC প্রিলিম পরীক্ষাতেও পাশ করতে পারেননি। তবে এই ব্যর্থতায় তিনি ভীত হননি। সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। তাই তিনি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন এবং পরের বছর আবার UPSC পরীক্ষা দেন।
আরও পড়ুন: কোহলি কিংবা স্মিথ নন! রুটের চোখে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার কে? নাম জানলে অবাক হবেন
দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সরকারি চাকরি পেয়ে যান পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার। তিনি ২০২১ সালে UPSC পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। তবে, তাঁর র্যাঙ্ক পিছিয়ে থাকায় ভারতীয় টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসে চাকরি পান। তিনি সিভিল সার্ভিসে উচ্চপদে চাকরি চেয়েছিলেন। তাই তিনি ২০২২ সালে আবার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর র্যাঙ্ক ছিল ১২১ এবং তিনি IPS হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপরেই সিদ্ধার্থ হায়দ্রাবাদে অবস্থিত IPS অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ঘুষ কাণ্ডের পরেই বড় সিদ্ধান্ত! আমেরিকার ফান্ডিং প্রত্যাখ্যান করলেন আদানি, স্পষ্ট জানালেন…..
জানিয়ে রাখি, পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমারের বাবা একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তাঁর মা একজন গৃহিণী এবং তাঁর দাদা কেরালা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার তাঁর পরিবারকে না জানিয়েই UPSC পরীক্ষার জন্য আরেকটি চেষ্টা করেছিলেন। ২০২৩ সালের UPSC পরীক্ষায় তাঁর ফলাফল দেখে সবাই হতবাক হয়ে যান। ওই প্রচেষ্টায়, পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে কেরালার মধ্যে প্রথম হন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা টিভির মাধ্যমে এই ফলাফলের তথ্য পান। আর এইভাবেই আত্মবিশ্বাস এবং অদম্য জেদের ওপর ভর করে পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার তাঁর স্বপ্নপূরণ (Success Story) করে ফেলেন।