বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা (School Teacher)। প্রত্যেকের জীবনের সংগ্রাম আলাদা আলাদা। এখন হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে কার্যত অকূল পাথারে পড়েছেন তারা। এর মধ্যে ডেবরার শিক্ষক দম্পতির কাহিনিও রয়েছে। দুজনেই একসময় চাকরি করতেন বেসরকারি সংস্থায়। মাস গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে দুজনেই যোগ দেন সরকারি শিক্ষকের (School Teacher) চাকরিতে। এখন সেই চাকরিটাও হারিয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।
বেসরকারি চাকরি ছেড়ে নিয়েছিলেন শিক্ষকতার (School Teacher) চাকরি
সুখেন্দুবিকাশ সামন্ত এবং সৌমিতা ধর, দুজনেরই সেই কলেজ জীবনের প্রেম। একসঙ্গে চাকরি করতেন এক বেসরকারি সংস্থায়। দুজনেরই স্বপ্ন ছিল, একসঙ্গে শিক্ষকতার (School Teacher) চাকরি পাওয়ার। বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতে করতেই এসএসসির প্রস্তুতি শুরু করেন দুজনে। তারপর ২০১৮ তে একসঙ্গে চাকরি। সুখেন্দুবাবু চাকরি করতেন পিংলার গোপীনাথপুর দেবায়তন বিদ্যাপীঠ স্কুলে। অন্যদিকে স্ত্রী সৌমিতা ছিলেন সবং এর হরিরহাট অনাথ স্মৃতি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা।
পুরনো চাকরিতে ফেরা কঠিন: সুপ্রিম রায়ের পর দুজনেরই চাকরি গিয়েছে। সুখেন্দুবাবু বলেন, ছাত্র পড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষকতার (School Teacher) চাকরিতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু সেটা যে একদিন চলে যাবে তা ভাবতেও পারেননি। এখন ছেড়ে দেওয়া বেসরকারি চাকরিতে ফিরে যাওয়া কঠিন। সৌমিতা বলেন, বেসরকারি চাকরির চেয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে সামাজিক সম্মান বেশি ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন চাকরি তো গিয়েছেই, সামাজিক সম্মানও শেষ।
আরো পড়ুন : মমতার জন্য “স্বামী” খোঁজার দাবি মার্কন্ডেয় কাটজুর! পালটা প্রাক্তন বিচারপতির কাছেই এল প্রস্তাব
দুজনেই পেয়েছিলেন ভালো নম্বর: অথচ দুজনেই বরাবর ভালো ছিলেন পড়াশোনায়। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে ভালো নম্বর, স্নাতক স্নাতকোত্তরেও কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছেন। এসএসসিতে সুখেন্দুবাবুর স্থান ছিল ৩২ তম। আর সৌমিতা পেয়েছিলেন ৬৮ তম স্থান। বেসরকারি চাকরির মোটা মাইনের মায়া ছেড়ে দুজনেই শুরু করেছিলেন শিক্ষকতার (School Teacher) জীবন, যা এখন বিপর্যস্ত।
আরো পড়ুন : ‘রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কীভাবে…’, আদিবাসীদের জমিতে খাদান ব্যবসায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
সুখেন্দুবাবু এবং সৌমিতার এক সন্তান রয়েছে। পিএইচডিও করছেন, কিন্তু তা কীভাবে এখন সম্পূর্ণ করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। সরকারি চাকরিও যে এভাবে ‘নেই’ হয়ে যেতে পারে সেটাই সম্ভবত বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না তাঁরা।