বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) এক ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ বিয়ে করতে গিয়েছিলেন ১২ বছরের এক নাবালিকাকে (Underage Girl)। তার মনে শখ জেগে ছিল ওই বালিকাকে বিয়ে করার জন্য। তার জন্য তিনি ৫ লক্ষ পাকিস্তানি টাকাও তুলে দিয়েছিলেন মেয়ের বাবার হাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেদেশের পুলিশের উপস্থিতিতে ভেস্তে যায় সমস্ত ষড়যন্ত্র।
শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে চম্পট দেয় মেয়ের বাবাও। এখনও খোঁজ মেলেনি তার। হাবিব খান নাম ৭২ বছরের ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সাথে নাকিমাত্র ১২ বছরের এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের আগেই সেই খবর কানে পৌঁছে যায় সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের। আর খবর পাওয়া মাত্রই তারা গ্রেফতার করেন হাবিব খানকে।
তার বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনের মামলাও রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত মেয়েটির বাবা আলম সঈদও পলাতক। যদিও তার খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। প্রসঙ্গত পাকিস্তানে বাল্যবিবাহের এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয় একেবারেই। এই বাল্যবিবাহ পাকিস্তানের অন্যতম একটি বড় সামাজিক সমস্যা। এ দেশের অন্তত ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় ১৮ বছর না হওয়ার আগেই।
আরও পড়ুন: উদ্ধার ছয়টি চেক, NEET প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! কত করে নেওয়া হয় পড়ুয়াদের থেকে?
যদিও পড়শি দেশের ন্যূনতম বিয়ের বয়স হল ১৬। কিন্তু তারও আগে বিয়ে হয়ে যাওয়ার অভিযোগ শোনা যায় হামেশাই। আসলে পাকিস্তানে আজকের বাল্যবিবাহের জন্য যে শাস্তি প্রচলিত রয়েছে তা আসলে ব্রিটিশ আমলের। আসলে পাকিস্তানে বাল্যবিবাহের জন্য এক মাসের জেল ও এক হাজার টাকা মাত্র জরিমানা দিতে হয়। যা এই অপরাধের তুলনায় খুবই সামান্য।
তাই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে বাল্যবিবাহের রমরমা। যার মধ্যে নাকি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান বলছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই এই দেশে বিয়ে হয়ে গিয়েছে প্রায় এক কোটি ৯০ লক্ষ পাকিস্তানি মেয়েদের। আর ১৬ বছরের কমবয়সী বিবাহিত মেয়েদের সংখ্যা সেক্ষেত্রে ৪৬ লক্ষ।