Ekchokho.com 🇮🇳

৩ বছরের মধ্যেই…..আম্বানিকে টক্কর দিতে এই সেক্টরে প্রবেশ করছেন আদানি, মিলল বড় আপডেট

Published on:

Published on:

Adani Group is entering this sector to compete with Reliance.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার দেশের শ্রেষ্ঠ দুই ধনকুবেরের মধ্যে কড়া টক্কর পরিলক্ষিত হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গৌতম আদানি এবার দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে ফেলেবেন। আসলে, গৌতম আদানির গ্রুপ (Adani Group) এখন পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসায় প্রবেশ করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আদানি এবার গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি পিভিসি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড) উৎপাদন কারখানা স্থাপন করবেন। ওই প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা হবে বার্ষিক ১০ লক্ষ টন। এটি প্রত্যক্ষভাবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দেবে।

বড় পদক্ষেপ আদানি গ্রুপের (Adani Group):

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পিভিসি হল এক ধরণের প্লাস্টিক। যেটি পাইপ থেকে শুরু করে জানালা, দরজা, বৈদ্যুতিক তার, মেঝে, ক্রেডিট কার্ড এবং খেলনার মতো একাধিক জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৪০ লক্ষ টন পিভিসির প্রয়োজন হয়।কিন্তু, দেশে মাত্র ১৫.৯ লক্ষ টন পিভিসি উৎপাদিত হয়। এর অর্ধেকই রিলায়েন্স কোম্পানি উৎপাদন করে। এদিকে, প্রতি বছর পিভিসির চাহিদা ৮-১০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত কৃষি, জল সরবরাহ, গৃহস্থালি এবং ওষুধ উৎপাদনের মতো সেক্টরে উন্নতির কারণে এই চাহিদা বৃদ্ধি ঘটছে।

Adani Group is entering this sector to compete with Reliance.

কবে থেকে এই প্ল্যান্টটি চালু হবে: আদানি গ্রুপের (Adani Group) কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড মুন্দ্রায় একটি পেট্রোকেমিক্যাল ক্লাস্টার তৈরি করছে। ওই ক্লাস্টারে একটি পিভিসি উৎপাদন প্ল্যান্টও স্থাপন করা হবে। প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ১০ লক্ষ টন পিভিসি উৎপাদন করবে। এদিকে, প্ল্যান্টটি ২০২৮ সালের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। পিভিসির পাশাপাশি, ওই প্ল্যান্টে ক্লোর-অ্যালকালি, ক্যালসিয়াম কার্বাইড এবং অ্যাসিটিলিন ইউনিটও থাকবে। আদানি গ্রুপ অ্যাসিটিলিন এবং কার্বাইড থেকে PVC তৈরির প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এর জন্য পরিবেশ মন্ত্রক থেকে অনুমোদনও মিলেছে।

আরও পড়ুন: “আমার পরবর্তী টার্গেট….”, ইংল্যান্ডে “রেকর্ড-ব্রেকিং” সেঞ্চুরির পর এবার বড় ঘোষণা বৈভব সূর্যবংশীর

আদানির পরিকল্পনা: যেহেতু, ভারতে পিভিসির চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম সেহেতু আদানির (Adani Group) এই প্রকল্প পিভিসির ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে এবং অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পটি রিলায়েন্সের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করবে। কারণ, রিলায়েন্স বর্তমানে ভারতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পিভিসি উৎপাদন করে। যার উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক প্রায় ৭.৫ লক্ষ টন। রিলায়েন্সের পিভিসি প্ল্যান্টগুলি গুজরাটের হাজিরা, দহেজ এবং ভদোদরায় অবস্থিত। ওই কোম্পানিটি ২০২৭ সালের মধ্যে পিভিসির উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে।

সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চাহিদা বাড়লে আদানি গ্রুপ (Adani Group) মুন্দ্রা প্ল্যান্টের ক্ষমতা বার্ষিক ২০ লক্ষ টনে বৃদ্ধি করতে পারে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর কারণ ছিল আর্থিক অসুবিধা এবং আমেরিকান শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ। কিন্তু গত বছর এটির কাজ আবার শুরু হয়। এরপর থেকে আদানি গ্রুপ তাদের সম্পদ পুনর্গঠন করেছে। তারা ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ইক্যুইটি সংগ্রহ করেছে এবং সম্পূর্ণরূপে পরিশোধিত শেয়ার-সমর্থিত ফাইন্যান্সিং করেছে।

আরও পড়ুন: এবার রাজনীতিতে “এন্ট্রি” নিলেন ইলন মাস্ক! হতে পারবেন রাষ্ট্রপতি? কী বলছে আমেরিকার সংবিধান?

SBI এই প্রকল্পে ফাইন্যান্স করেছে: জানিয়ে রাখি যে, এই প্রকল্পে SBI-এর নেতৃত্বে একটি কনসোর্টিয়াম ফাইন্যান্স করছে। এটি অ্যাসিটিলিন এবং কার্বাইড-বেসড পিভিসি উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যবহার করবে। সূত্র জানিয়েছে যে, আদানি গ্রুপ (Adani Group) ফিডস্টকের সোর্সিং সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সম্মুখীন হবে না। কারণ তাদের পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলির দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এছাড়াও, আদানি গ্রুপ (Adani Group) মুন্দ্রাতে বিশাল জমি, বন্দর সুবিধা এবং সরবরাহের সুবিধা পাবে। এর ফলে কাঁচামাল আনা এবং তৈরি করা পণ্য পাঠানো সহজ হবে। এই বিষয়টি সময় অনুযায়ী প্রকল্পটি সম্পন্ন করতেও সাহায্য করবে।