বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত দু’বছর যাবৎ লাদাখ সীমান্তে ভারত (India) ও চিনের (China) মধ্যে উত্তেজনার পারদ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি, ইতিমধ্যেই, চিন বেশ কয়েকবার অরুণাচল থেকে উত্তরাখণ্ড পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সতর্কতা পরীক্ষা করার চেষ্টাও করেছে। এমতাবস্থায়, চিনের এইসব কর্মকান্ডের মোকাবিলায় একটি স্থায়ী সমাধান আনতে চলেছে সরকারি অ্যারোস্পেস সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindustan Aeronautics Limited, HAL)।
ইতিমধ্যেই রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, HAL কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence) দ্বারা চালিত ড্রোন তৈরি করছে, যা কূটনৈতিক মিশনের জন্য অত্যধিক উচ্চ অঞ্চলেও পাঠানো যেতে পারে। এই ড্রোনগুলি একাধিক বৈশিষ্ট্য ও অস্ত্রে সজ্জিত থাকবে। এছাড়াও, সেগুলি বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য সীমান্তের উপর দিয়ে উড়তে সক্ষম হবে বলেও জানা গিয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে: এই প্রসঙ্গে HAL-এর সাথে যুক্ত কিছু আধিকারিক জানিয়েছেন, যে ড্রোনগুলি তৈরি হতে চলেছে সেগুলিতে রোটারি উইং থাকবে এবং সেগুলি ৪০ কেজি পর্যন্ত ওজন তুলতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ এই ড্রোনগুলি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সেন্সর দ্বারা সজ্জিত থাকবে। জানা গিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী এই ড্রোনগুলিকে তৈরি করা হচ্ছে। যাতে চিন সীমান্তে ভালোভাবে নজরদারি চালানো যায়।
এদিকে, HAL এই ড্রোনের প্রথম উড়ানের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করেছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে এই ড্রোনের পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে মোট ৬০ টি ড্রোন তৈরি করা হবে।
এই প্রসঙ্গে অধিকারিকরা বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির সাহায্যে দীর্ঘক্ষণ উড়তে সক্ষম এই ড্রোনগুলিকে তৈরি করা হবে। সর্বোপরি, এগুলিকে সশস্ত্র বাহিনী কেবল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনের জন্যই ব্যবহার করবে না, এর পাশাপাশি অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। অন্য এক কর্মকর্তার মতে, ড্রোনটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে এটি সেনাবাহিনীর অনেক কাজ করতে পারে। সেন্সর ছাড়াও এতে ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্রও বসানো হচ্ছে।
ইজরায়েলের সাথে হেরন ড্রোন সম্পর্কে চলছে আলোচনা: জানা গিয়েছে, HAL একটি ইজরায়েলি কোম্পানির সহযোগিতায় হেরন টিপি ড্রোন তৈরির দিকেও নজর দিচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, ইজরায়েলের সাথে তৈরি ড্রোন শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করবে না, পাশাপাশি সেগুলি বিশ্বব্যাপী সরবরাহের জন্যও তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হেরন ড্রোন ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ৪৫ ঘন্টা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের সাহায্যে এগুলিকে বহুদূরে ওড়ানো সম্ভব হয়। এছাড়াও, HAL আরও দু’টি ড্রোন প্রকল্পে কাজ করছে।