বাংলা হান্ট নিউজ কাপ: এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই বড় চমক। শ্রীলঙ্কাকে কার্যত গুড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ জিতে নিলো আফগানিস্থান। ২০১৬ সালে শেষবার এশিয়া কাপে কোনও ম্যাচ জিতে ছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। তার পরবর্তী সংস্করণ ২০১৮তে একটিও ম্যাচে জয় পাননি তারা। ২০২২ সালের প্রতিযোগিতাতেও সেই ধারা অব্যাহত রইল।
এইমুহূর্তে শ্রীলঙ্কা শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হয়েছে। সেই দেশের নাগরিকদের কাছে একমাত্র সামনে এগোনোর ভরসা হচ্ছে ক্রিকেট। এমন নয় যে ক্রিকেট থেকে তাদের অর্থনীতির বিশালভাবে প্রভাবিত হতে পারে। কিন্তু দেশের ক্রিকেটারদের ভালো পারফরম্যান্স করতে দেখলে দেশের নাগরিকরা মনে কিছুটা শক্তি পাবেন এই খারাপ পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আজ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা তাদের সমর্থকদের চেয়ে ক্রিকেটটা উপহার দিল তাতে তারা নিজেরাই লজ্জিত হবেন।
আজ মাত্র ৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার সহ ৩ নম্বরে নামা আশালঙ্কাকেও হারিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। আফগান পেসার ফজলক ফারুকির সামনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। এই অবস্থায় কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গুনাতিলাকা এবং রাজাপক্ষ। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের একটি পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু সেই পার্টনারশীপে একবার ভাঙলে তারপর সিলেট আসা-যাওয়া চলতে থাকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। রান-আউট হন রাজাপক্ষ (৩৮) যিনি একমাত্র তাদের ব্যাটিং লাইন আপে কিছুটা লড়াই করেছিলেন।
পরের দিকে করুনারত্নের ৩১ রানের ইনিংসে ভর করে ১০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তারা ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২টি করে উইকেট নেন মুজিবুর রহমান ও অধিনায়ক মহম্মদ নবী। উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করেন তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান। কিন্তু ৩.৪ ওভার বোলিং করে ১টি মেডেন সহ ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ফজলক ফারুকি।
এতদিন ধরে আফগানিস্তানের মূল শক্তি ছিল তাদের ২ স্পিনার রশিদ খান এবং মুজিবুর রহমান। কিন্তু এখন তাদের কাছে এমন দুইজন ওপেনার রয়েছেন যারা পাওয়ার প্লে-র ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের পূর্ন সুবিধা নিতে পারেন। তারা দুজন হলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং হজরতুল্লাহ জাজাই। দুজনেই আজকে নিজের জাত প্রমাণ করেছেন। ১৮ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা সহ ৪০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের স্কোয়াডে থাকা গুরবাজ। ২৮ বলে ৩৭ রান করেছেন জাজাই। মাত্র ৬১ বল খেলেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান গুরবাজরা। এই জয় নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে আফগানদের।