বাংলা হান্ট ডেস্ক: মৃত্যুর কিছু সময় পরেও অনেকের দেহেই প্রাণ থাকে। অনেক সময় চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও ঘটে যায় মিরাকেল। বেঁচে ওঠেন মৃত ব্যক্তি। ঠিক তেমনি এবার মধ্যপ্রদেশের একটি ঘটনা একেবারে চমকে দিয়েছে সবাইকে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) শেওপুর থেকে এক ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করার পর তার পরিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু তাঁর শেষকৃত্যের (,Last Rites) পর ওই ব্যক্তি ১৩ দিনের মাথায় জীবিত অবস্থায় ফিরে আসেন বাড়িতে।
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি একেবারে সত্যি। জানা যায় কয়েকদিন আগেই একটি গাড়ি দুর্ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের কাছে সুরওয়ালে। দুর্ঘটনায় নিহত সেই ব্যক্তির আসল পরিচয় জানতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট করা হয়েছিল। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই আহত ব্যক্তির আসল পরিচয় জানা যায়।
প্রকাশ্যে আসে ওই ব্যক্তির নাম সুরেন্দ্র। যিনি মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি জয়পুরের থাকতেন। সেখানকারই একটি টেক্সটাইল মিলের সুপারভাইজার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সুরেন্দ্রর পরিবারের লোকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই পোস্ট থেকে যখন জানতে পারেন তাদের ছেলের গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তখন তারা ছেলের খোঁজ করতে থানায় যান।
চিকিৎসকরা জানান চিকিৎসা চলাকালীনই তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর তারা মৃতদেহ নিয়ে গ্রামে আসেন এবং ২৮শে মে ওই মৃতদেহ দাহ করা হয়। এই পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ১৩ দিনের মাথায় সুরেন্দ্রর ভাই এর কাছে সুরেন্দ্রর ফোন থেকে একটি মেসেজ আসে, কথাও হয় তাদের। কিন্তু প্রথমে সুরেন্দ্রর ভাই মনে করেছিল কেউ হয়তো ঠাট্টা করছেন। তাই তিনি ভিডিও কল করতে বলেন।
আরও পড়ুন: সিকিম যাওয়ার প্ল্যান থাকলে সাবধান! ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস, পুজোর আগেই বন্ধ হল ১০ নং জাতীয় সড়ক!
কিন্তু ভিডিও কল করতেই চোখ কপালে ওঠে সকলের। সামনে মৃত সুরেন্দ্রকে দেখে কেউ কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি এমন হয় সুরেন্দ্র বেঁচে থাকায় সকলে খুশি হলেও কেউ ভরসা করতে পারছিলেন না। তাই সবাই তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি চলে আসতে বলেন। পরের দিন সুরেন্দ্র বাড়ি চলে আসলে, গোটা পরিবার সহ পুরো গ্রাম খুশিতে মেতে ওঠেন। কিন্তু প্রশ্ন হল সুরেন্দ্র যদি বেঁচে থাকে তাহলে তার পরিবারের সদস্যরা কার দেহ সৎকার করেছিল?
জানা যায় রাজস্থানের সুরওয়ালে ঘটনার পর আহত ব্যক্তির পকেটে ‘কুশওয়াহ ধাবা শেওপুর’ নামে একটি বিল পাওয়া গিয়েছিল। এর ভিত্তিতে সুরওয়াল পুলিশ যাচাই না করেই অনুমান করেছিল ওই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের শেওপুর থেকে এসেছেন। এরপর সেখান থেকে এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পৌঁছলেও তা ভুল শনাক্ত করা হয়।