বাংলা হান্ট ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) একদিকে যেমন আশীর্বাদ অপরদিকে অভিশাপ। এই কথাটি একেবারে সঠিক প্রমাণিত তার প্রমানিত। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, এআই নাকি মানুষের সমস্ত কাজ একে একে কেড়ে নেবে। এআই (AI) গবেষণার উন্নতির সূচনা লগ্ন থেকেই এমনটাই আশঙ্কা করছেন অনেকে। ইতিমধ্যে, সেই আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি এক এআই গবেষকের দাবি, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের প্রায় সব কাজই কেড়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে এই তিনটি কাজ থেকে যাবে।
২০৪৫ সালের মধ্যে সব চাকরি কাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
অ্যাডাম ডর নামের ওই বিশেষজ্ঞ ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সবাইকে চাকরি হারাতে হবে। তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সকলের চাকরি খেলেও, এই তিনটি কাজ এআইয়ের দ্বারা হবে না। কেননা সেই কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনও ভূমিকা এখনও পর্যন্ত নেই। যে তিনটি কাজের কথা ওই বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন তা হল- রাজনীতিবিদ, যৌনকর্মী এবং নীতি নির্ধারকরা। তাঁর মতে এই কাজ গুলো শুধু মাত্র মানুষের দ্বারাই সম্ভব।
অপরদিকে জিওফ্রে হিন্টন, যাঁকে ‘এআইয়ের ঠাকুরদা’ বলা হয় তিনিও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে ওপেন এআই সিইও স্যাম অল্টম্যান কিংবা মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুনের মতে, এআই কাজের বাজারকে আমূল বদলে দেবে। সে কেবল চাকরি খাবে তা নয়, নতুন চাকরির ক্ষেত্রেও উদ্ভাবনও করবে। তবে সেই চাকরি আমাদের চেনা চাকরির কাঠামোর সঙ্গে মিলবে না।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে ফিরেও মা’য়ের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না শুভাংশু শুক্লা, কেন? কারণ জানলে অবাক হবেন
প্রসঙ্গত বিশ্ববাজারে যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাড়ন্ত বেড়েছে তা নিয়ে আলাদাভাবে বলার কোন অপেক্ষা রাখে না। এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাড়বাড়ন্তের ফলে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এআই-য়ের জন্য বাজারে চাকরির সংকট তৈরি হবে যেমন। তেমনি বাজারে নতুন চাকরির বিকল্পও খুলে যাবে।