ইরাকের বাগদাদ এয়ারপোর্টে এয়ার স্ট্রাইক আমেরিকার

আমেরিকা বাগদাদ বিমানবন্দরে এয়ার স্ট্রাইক করেছে বলে খবর সামনে আসছে। মূলত, ইরাকি মিলিশিয়ার তরফ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। ইরাকি মিলিশিয়া দাবি করেছে, যে এই স্ট্রাইকে ইলাইট কুডস ফোর্সের প্রধান, ইরানি মেজর জেনারেল কাসিম সুলেমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদী আল-মুহান্দি সহ আটজন নিহত হয়েছেন।

Trump baghdadi

ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ার মুখপাত্র আহমেদ আল-আসাদি বলেছেন, ” মুজাহিদিন আবু মাহদী আল-মুহান্দিস এবং কাসেম সোলাইমানি হত্যার জন্য আমেরিকান ও ইজরায়েলি শত্রুরা দায়ী। আমেরিকার এয়ার স্ট্রাইকের হামলায় ইরানের অনেক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে খবর সামনে এসেছে।

 

এর মধ্যে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি এমন একটা টুইট করেছেন যা নিয়ে এ বিষয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঠিক পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার জাতীয় পতাকা টুইট করেছেন। সম্ভবত ট্রাম্প তার টুইটের মাধ্যমে জনগণকে এয়ার স্ট্রাইকের বার্তা দিতে চেয়েছেন। অন্যদিকে, পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসিম সোলাইমানিকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি ইরাকি প্রদর্শনকারীরা মার্কিন বিমান প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল। ইরাক ও সিরিয়ায় কিনকিব হিজবুল্লাহ শিয়া যোদ্ধাদের টার্গেট করার প্রতিবাদে ইরাকি প্রদর্শনকারীরা মার্কিন দূতাবাস আক্রমণ করে এবং বাইরের বেড়াতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলায় মোট আট জন মারা গিয়েছিলেন। সুলেমানি পশ্চিম এশিয়ায় ইরানি কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান কৌশলবিদ ছিলেন। সুলামণির বিরুদ্ধে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালানোরও অভিযোগ করা হয়েছিল।

 

মার্কিন দূতাবাসে হামলার পর আমেরিকা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অনেকে দাবি করেছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের প্রভাব বিস্তার ও ভোট ব্যাঙ্কের জন্য এই স্ট্রাইক করিয়েছে। আসলে এয়ার স্ট্রাইকের পর ট্রাম্প যেভাবে টুইট করেছে তার উপর অনেকে ট্রাম্পের উদেশ্য নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

সম্পর্কিত খবর