বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) বহু বছর আগেই অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) স্বপ্ন দেখেছিলেন। এবার কি ২০২০ তে ওনার ওই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে? এই প্রশ্ন এর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিয়ে ভারতের অনেক অ্যাকশন প্ল্যান সামনে এসেছে। PoK নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভাল (Ajit Doval) বড় বৈঠক করেছেন। আর ওনার এই পদক্ষেপে গুলোর জন্যই এবার PoK এর আচ্ছে দিন আসতে চলেছে।
আজকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চরম আতঙ্কে ভুগছেন। ভারতের আক্রমনাত্বক মনোভাবের কারণে পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়ার সেনার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এই ঘটনা এত পর্যন্ত সীমিত থাকলে ইমরান খানের মাথায় এত চিন্তা আসত না। কিন্তু ইমরানের আতঙ্কে থাকার সবথেকে বড় কারণ হল, PoK নিয়ে ভারতের প্ল্যান আসতে আসতে মাথায় ধুকছে ওনার। উনি বুঝতে পেরে গেছেন যে, ভারত এবার PoK নিয়ে বড়সড় কিছু করতে চলেছে।
আপনাদের জানিয়ে দিই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আর সিডিএস জেলারেন বিপিন রাওয়াত মিলে পাকিস্তান থেকে PoKকে আজাদ করার জন্য সুপারহিট প্ল্যান তৈরি করে নিয়েছে।
ভারতের এই চার শক্তিশালী স্তম্ভ পাকিস্তান থেকে PoKকে আজাদ করার সুপারহিট প্ল্যান একসাথে মিলে বানাচ্ছে। আর এই স্তম্ভের মধ্যে NSA অজিত দোভাল এর ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই কথা এই জন্য বলছি যে, সুত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে যে, NSA অজিত দোভাল পিওকে নিয়ে বড় বৈঠক করেছেন।
আর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবানে, র চীফ, আইবি চীফ, নর্দান আর্মি কম্যান্ডারের লেফটিন্যান্ট জেনারেল ওয়াইকে জোশি, ১৫ কোর এর জিসিও লেফটিন্যান্ট জেনারেল রাজু, ১৬ কোর কম্যান্ড লেফটিন্যান্ট জেনারেল হর্ষ গুপ্তা আর সাথে ছিলেন কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং।
পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে জম্মু কাশ্মীরের সাথে সাথে LoC এর পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। NSA দোভালকে হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুর মৃত্যুর পর জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলা অপারেশন নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়। দোভালকে উপত্যকায় বর্তমানে সক্রিয় জঙ্গিদের তালিকা দেওয়া হয়।
এই তথ্য গুলো দেওয়া পর আধিকারিকরা দোভালকে পিওকে নিয়েও তথ্য দেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা সংস্থা গুলো দোভালকে জানিয়েছে যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পাশে সীমান্তে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে। আর তাঁরা ভারতে ঢোকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দোভালের টেবিলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে টেরর কুণ্ডলী রাখা হয়েছিল, টেরর ক্যাম্প গুলোর ব্যাপারে জানানো হয়েছে। আর এসব জেনে ওনার রিঅ্যাকশন কি হতে পারে? স্বভাবতই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গি ঘাঁটি গুলো দমন করা নিয়েই কথাবার্তা চলেছে সেখানে।
কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, নতুন ভারত জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করবে না। যেখান থেকে অনুপ্রবেশ করার খবর পাওয়া যাবে, সেখানে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করবে আসবে ভারতীয় সেনা/ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এপ্রিল ২০১৯ এর বলেছিলেন, আজ সব জঙ্গিই জানে যে, ভারতে জঙ্গি হামলা করলে মোদী তাঁকে পাতাল থেকেও খুঁজে বের করবে আর সাজা দেবে। আর তাদের এবং তাদের মালিককেও ছাড়বে না।