বাংলাহান্ট ডেস্ক: লকডাউনের সময় গরিবের ‘মসিহা’ রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন অভিনেতা সোনু সূদ (sonu sood)। লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকি এখনো এই কাজে নিজেকে ব্রতী করে রেখেছেন অভিনেতা। সোনুকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই মানুষকে সহায়তার কাজ শুরু করেছেন।
এমনি এক ব্যক্তি হলেন শিবা। হায়দ্রাবাদ নিবাসী পেশায় সাঁতাড়ু শিবা সোনু সূদকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেছেন বিনামূল্যে ‘সোনু সূদ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা’। ওই ব্যক্তি জানান, সাঁতাড়ু হওয়ার সুবাদে বেশ কয়েকজন মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। হুসেন সাগর ঝিলে ডুব দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই সব মানুষরা। এমন প্রায় একশোর অধিক মানুষকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন শিবা।
তাঁর এই কাজ দেখে অনেকেই অনুদান দিতে শুরু করেন শিবাকে। সেই অর্থ জমিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনে তিনি। সোনু সূদের নাম দিয়ে শুরু করেন বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। শিবা জানান, সোনু সূদের মানবতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই নিজের অ্যাম্বুলেন্সের নাম অভিনেতার নামে রেখেছেন তিনি।
এই অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করতে সোনু সূদ নিজে এসেছিলেন। অভিনেতার কথায়, “আমি গর্বিত এই অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করতে পেরে। শিবাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি ওঁর ব্যাপারে শুনেছি। উনি মানুষকে নতুন জীবন দান করেন। আমাদের সমাজে শিবার মতো মানুষের খুব প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, এর আগে জানা গিয়েছিল সোনুকে সম্মান জানানোর জন্য তেলেঙ্গানার সিদ্দিপেত জেলার ডাব্বা টান্ডা গ্রামের বাসিন্দারা এক মন্দির তৈরি করেছেন সোনুর নামে। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দিরে সোনুর একটি মূর্তিও রাখা হয়েছে। গ্রামবাসী ও মূর্তি শিল্পীর উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠা হয় এই মন্দির।
জেলা পরিষদের এক সদস্য গিরি কোন্ডাল রেড্ডি সংবাদ সংস্থা ANI কে বলেন, নিজের ভাল কাজের মাধ্যমে সোনু সূদ ঈশ্বরের স্থান গ্রহণ করেছেন। সেই কারণেই গ্রামে তাঁর নামে মন্দির তৈরি হয়েছে। পুজো করা হচ্ছে সোনুর মূর্তিতে। শিল্পী মধুসূদন পাল জানান, সোনুর একটি ছোট মূর্তিও তিনি তৈরি করেছেন তাঁকে উপহার দেবেন বলে।
নিজের নামে মন্দির তৈরি হওয়ার খবর পেয়ে বাকরুদ্ধ সোনু সূদ নিজেও। গ্রামবাসীদের এত ভালবাসা পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে খবরটি শেয়ার করেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি টুইট করে লেখেন, ‘আমি এর যোগ্য নই। আপ্লুত।’