বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সীমান্তে চোখে পড়ছে তৎপরতা। এই আবহে বিগত কয়েকদিনে একাধিক পাকিস্তানি নাগরিক ধরা পড়েছেন। এবার ফের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় এলাকায় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন একজন পাক নাগরিক।
কাশ্মীর-কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে নতুন করে সংঘাত!
গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। প্রাণ যায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয়ের। এরপর থেকেই ফুঁসছে গোটা দেশ। ‘বদলা’র দাবি উঠছে নানান মহল থেকে। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতেই ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের এলাকায় ঢুকে পড়েন ভারতীয় জওয়ান তথা বাংলার বাসিন্দা পূর্ণম কুমার সাউ।
পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের হাতে ধরা পড়ে যান পিকে। এরপর থেকে সেদেশেই রয়েছেন তিনি। এখনও অবধি তাঁকে ভারতে ফেরানো যায়নি। এই আবহে সম্প্রতি রাজস্থানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে একজন পাক রেঞ্জারকে আটক করা হয়। এরপর একদিন আগে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে একজন পাক নাগরিক আটক হন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ফের একজন পাকিস্তানি নাগরিককে ধরল বিএসএফ (BSF)।
আরও পড়ুনঃ মানবাধিকার কমিশনের বাইরে ধর্না নয়! BJP সমর্থিত সংগঠনকে একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে অনুমতি দিল হাইকোর্ট
এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন ওই পাক নাগরিক। একটি জনপ্রিয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধৃত যুবকের বয়স বছর কুড়ির কাছাকাছি। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকছিলেন তিনি। চাকান দা বাগ অঞ্চলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে বিএসএফ।
জানা যাচ্ছে, আপাতত ওই যুবককে জেরা করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে তিনি কেন ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন? তাঁর কী উদ্দেশ্য ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে খবর।
এদিকে পহেলগাঁও হামলার পরবর্তী সময়ে ভারতে একের পর পাকিস্তানি নাগরিকের ধরা পড়ার বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে পাক-ভূমে রয়েছেন ভারতীয় জওয়ান পিকে সাউ (Purnam Kumar Shaw)। এবার এদেশে একের পর এক পাক নাগরিক ধরা পড়ায় পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসে বারুদের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে! এসবের মাঝেই ৭ মে, বুধবার গোটা ভারতজুড়ে ‘মক ড্রিল’এর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নির্দেশ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।