নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (Citizenship Amendment Bill) লোকসভায় পাস হওয়ার পর আজ রাজ্যসভার উচ্চ সভায় পেশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আজ বিলটি হাজির করেন। বিরোধীরা ধারাবাহিকভাবে এই বিলের বিরোধিতা করতে শুরু করেছে এবং এই বিলকে সংবিধান বিরোধি বলে দাবি করছে। এই বিলের বিরুদ্ধে আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভের খবরও সামনে এসেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন যে আমি এই সংসদের সামনে একটি ঐতিহাসিক বিল নিয়ে এসেছি। এই বিলের বিধানের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত ছিল না, তারা সেখানে সমতার অধিকার পায়নি।
অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, এই বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, কীভাবে পাকিস্তানি মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। তিনি বলেন এই বিল অনুপ্রবেশ কমিয়ে দেবে। যারা বিলের আওতায় এসেছেন তাদের উপর অনুপ্রবেশকারী মামলাটি শেষ হবে। শরণার্থীরা অধিকার পাবেন। সংখ্যালঘুরা যারা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে এসেছিল তারা এখানে সুবিধা পায় নি। পাকিস্তানে ২০ শতাংশ সংখ্যালঘু ছিল, কিন্তু আজ মাত্র ৩ শতাংশ রয়ে গেছে। এই বিলের মাধ্যমে হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি শরণার্থীরা সুবিধা পাবেন।
অমিত শাহ বলেন, ভারতে থাকা মুসলিমরা ভারতের নাগিরিক এটা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। ভারতের মুসলিমরা ভারতেই থাকবে তাদের উপর কোনো অত্যাচার করা হবে না। তবে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিমদের কি করে আমরা নাগরিকত্ব দেব? পুরো দুনিয়া থেকে আগত মুসলিমদের কিভাবে নাগরিকত্ব দেব? এভাবে কি দেশ চলতে পারে? অমিত শাহ বলেন, এই বিল শুধুমাত্র একটা বর্গবিশেষ এর জন্য। যারা তিনটি দেশে ধার্মিক কারণে নিপীড়িত হচ্ছেন তাদের জন্য এই বিল আনা হয়েছে।
জানিয়ে দি, এর আগে লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছিল। সেই সময় অমিত শাহ কংগ্রেস পার্টিকে কড়া ভাষায় আক্রমন করেছিলেন। অমিত শাহ বলেছিলেন যদি কংগ্রেস পার্টি ধর্মের ভিত্তিতে দেশের বিভাজন না করতো তবে আজ এই বিলের প্রয়োজন হতো না।