বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের অর্থ সঙ্কট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিগত কয়েক দিনে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের দুর্দশার ছবি সামনে এসেছে বার বার। এক বস্তা আটার জন্য তাঁদের মারপিট করতে দেখা গিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের দাম সেখানে আকাশ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে আরও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে সেখানকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (State Bank of Pakistan)।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে অন্য দেশ থেকে পাঠানো অর্থের পরিমাণ বিগত ৩১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্য বিভিন্ন দেশে কর্মরত পাকিস্তানিদের নিজের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ক্রমশ কম হচ্ছে। ডিসেম্বরে এই অর্থ কমে ২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান জানিয়েছে, ডিসেম্বরে অন্য দেশ থেকে পাকিস্তানে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ২.০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এটি ১৯ শতাংশ কম। গত বছর একই সময়ে এই অর্থ ছিল ২.২৫ বিলিয়ন ডলার।ঙত নভেম্বরে বিদেশ থেকে পাকিস্তানে আসা অর্থের পরিমাণ ছিল ২.১০ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে এই পরিমাণে ৩ শতাংশ ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে বিদেশে কর্মরত পাকিস্তানি নাগরিকরা দেশে মোট ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন। গত অর্থবর্ষের তুলনায় এটি ১১ শতাংশ কম।
একটি তথ্য অনুসারে, সৌদি আরবে কর্মরত পাকিস্তানি নাগরিকরা ডিসেম্বরে মোট ৫১৬ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে মোট ৩২৯ মিলিয়ন ডলার এসে পৌঁছেছিল পাকিস্তানে। সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রা তহবিল আরও কমে গিয়েছে।
এর কারণ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে বিশ্ব বাজারে পাকিস্তানের টাকার দাম আরও পড়ে গিয়েছে। পর পর চতুর্থ মাসেও পাকিস্তানি টাকার পতন অব্যাহত। ইতিমধ্যেই বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি দেখা গিয়েছে সেখানে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে অন্য দেশের থেকে সাহায্য নিতেই হবে। এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের।