বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির পুরনো এবং অভিজ্ঞ অভিনেতাদের মধ্যে একজন অন্নু কাপুর (Annu Kapoor)। টেলিভিশন এবং বড়পর্দা মিলিয়ে বহু কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তবুও নিজেকে এখনো ‘স্ট্রাগলিং’ অভিনেতা হিসাবেই দাবি করেন তিনি। এত অভিজ্ঞতার পরেও নাকি সহজে ছবি পান না অন্নু। টাকা রোজগারের জন্য তাই খারাপ ছবি করতেও রাজি হতে হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অন্নু বলেন, “ভেতর থেকে বিরক্তি আসে আমার। কিন্তু আমি কীই বা করতে পারি? আমাকে সংসার চালাতে হয়, পরিবারের দেখভাল করতে হয়। আমি অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান বা সলমন খান নই। আমি খুব ছোট, স্ট্রাগলিং একজন অভিনেতা, এই ৪০ বছর পরেও। এই দেশে কেউ পরোয়া করে না কে কতটা প্রতিভাবান বা পরিশ্রম। শুধু সুপুরুষ হওয়া চাই আর নায়ক হিসাবে কয়েকটা ছবি করা চাই।”
ইদানিং বড়পর্দার পাশাপাশি অভিনেতাদের OTT প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝোঁকার প্রবণতা সম্পর্কে মুখ খোলেন অন্নু কাপুর। বলিউডকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আগে এসব বিষয়ে তথাকথিত হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উপর মহলে নাক সিঁটকানি ছিল। টেলিভিশনেও কাজ করতে চাইতেন না তাঁরা। কিন্তু টাকাই শেষ কথা বলে। এখন তাঁরাই দলে দলে টেলিভিশনে আসছেন। OTT তেও আসবেন খুব তাড়াতাড়ি, দাবি অন্নুর।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মন্ডি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন অন্নু। তাঁর চরিত্রটি ছিল একজন চিকিৎসকের। উল্লেখ্য, ডেবিউয়ের দু বছর আগে একটি নাটকে এক বৃদ্ধের ভূমিকায় অন্নু কাপুরেরের দুরন্ত অভিনয় দেখেই নিজের ছবিতে তাঁকে কাস্ট করেন শ্যাম। তবে অভিষেক করেও তেমন বড় কোনো চরিত্র পাচ্ছিলেন না অন্নু কাপুর।
এরপর ১৯৯৩ সালে দূরদর্শনে ‘অন্তাক্ষরী’ শো তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শোতে সঞ্চালক এর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অন্নুকে। এরপর থেকেই একের পর এক ছবিতে প্রস্তাব পেতে থাকেন তিনি। কেরিয়ারে ১০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন অন্নু কাপুর।