জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে ফের দুর্ঘটনা, জখম কমপক্ষে ১০ ভক্ত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত রবিবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১০ জন জল্পেশ যাত্রীর মৃত্যুর খবরে হাহাকারের রেশ এখনো কাটেনি। ইতিমধ্যেই আবারো দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ১০ জন জল্পেশ যাত্রীর গাড়ি। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংড়াবান্ধায় গত রবিবারেই তীর্থযাত্রা কালীন মৃত্যু হয়েছে দশ জনের। পুলিশি নজরদারিতে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় এবং সাউন্ড সিস্টেম বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনার আবারও ঠিক হাতেগোনা সাতদিন পরে ঘটে গেল ফের তীর্থযাত্রীদের দুর্ঘটনা।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ঠিক রাত দুটোর সময়।মাথাভাঙ্গার চ্যাংড়াবান্ধায় টুয়েলভ এ রাজ্য সড়কের জামালদহে ঘটে যায় ঘটনাটি। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জন জল্পেশ যাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় জল্পেশ প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ও সেখান থেকে তাদেরকে রেফার করা হয় কোচবিহারে।

অভিযুক্ত ঘাতক গাড়ির চালকসহ গাড়িটিকে চৌরঙ্গী এলাকা থেকে আটক করা হয় এবং গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িতে থাকা এক যাত্রী বয়ানে জানা যায় গত রবিবার ঠিক রাত দুটোর সময় তীর্থযাত্রা কালীন গাড়িটিকে জামালদহ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আটক করা হয় এবং গাড়িতে থাকা সাউন্ড সিস্টেম বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপর গাড়ির কয়েকজন যাত্রী পুলিশ ফাঁড়িতে কথা বলে সাউন্ড সিস্টেম পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যখন গাড়িতে উঠছিলেন ঠিক তখনই পিছন থেকে সেই গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। প্রবল ঝাঁকুনিতে আহত হন গাড়ির ভেতরে থাকা দশ জন যাত্রী।

সূত্রের খবর গতকাল কোচবিহারের নজিরহাট শালমারা থেকে মোট ৩৫ জন তীর্থযাত্রী একটি ট্রাকে করে জল্পেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। জল্পেশ যাওয়ার পথেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে চ্যাংড়াবান্ধা মাথাভাঙ্গার ১৬ নম্বর রাজ্য জাতীয় সড়কে।

এই দুর্ঘটনার জেরে গাড়িতে থাকা বাকি ২৫ জন যাত্রী তীর্থযাত্রা করেও জল্পেশ যেতে পারেননি, তাদেরকে জামালদহের হাসপাতালেই রাত কাটাতে হয়। অবশেষে যাত্রীদের মধ্য থেকে জানা যায় যে , দুর্ঘটনা কবলিত বেশ কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে বেসরকারি হাসপাতালে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর