বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানেই ফের প্রকাশ্যে এল দলের অন্দরের ভাঙন। শনিবার মুরারই ১ ব্লকে তৃণমূলের এই অনুষ্ঠানে স্লোগান আর পাল্টা স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে পরিবেশ। একপক্ষ অনুব্রত মণ্ডলের নামে স্লোগান দিতে শুরু করতেই, অন্যপক্ষ সভাধিপতি কাজল শেখের নামে পাল্টা স্লোগান তোলে। মুহূর্তে অনুষ্ঠান মঞ্চ ঘিরে তৈরি হয় গরম পরিবেশ।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে পাশাপাশি অনুব্রত ও শতাব্দী
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। কাজল শেখ মঞ্চে উঠতেই অনুব্রত অনুগামীরা তাঁর নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই স্লোগানের জবাবে কাজল অনুগামীরও পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করে। বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে দুই নেতার অনুগামীদের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়, তবে তৃণমূলের উৎসবের মঞ্চে প্রকাশ্যে এমন পরিস্থিতি ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
এই ঘটনায় প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দেন জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “আমাদের শত্রু বিজেপি নয়, আমাদের শত্রু আমাদের দলের মধ্যেই আছে।” এরপর অনুব্রত মণ্ডলও সুর মিলিয়ে বলেন, “তৃণমূলের শত্রু বিজেপি নয়, তৃণমূলের শত্রু কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের শত্রু তৃণমূলই।” অনুব্রতের এই মন্তব্যে আরও চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে।
বিজয়া সম্মিলনীর মতো সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে ফের প্রশ্ন উঠেছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) ঐক্য নিয়ে। অনুব্রত মণ্ডল ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকেই জেলাজুড়ে তাঁর অনুগামীদের প্রভাব ক্রমে বাড়ছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের গোষ্ঠীও সমান শক্তিশালী। দুই শিবিরের এই ঠান্ডা লড়াই যে এখনও শেষ হয়নি, শনিবারের মঞ্চের ঘটনাই যেন তার প্রমাণ।
আরও পড়ুনঃ পার্কস্ট্রিট-কামদুনি থেকে দুর্গাপুর, বিজেপি এলেই রিওপেন হবে সব মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
দলীয় (Trinamool Congress) সূত্রে খবর, বিজয়া সম্মিলনী শেষে দুই পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে। যদিও স্থানীয় নেতৃত্ব তা ‘ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের মধ্যে যে ঠান্ডা যুদ্ধ এখনও চলছে, শনিবারের মঞ্চে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।