বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘সময়মতো মুখ খুলব, কথাও বলব গরু পাচার নিয়ে’। আসানসোল সংশোধনাগারে ফিরে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে সাফ জানিয়ে দিলেন অনুব্রত মন্ডল। বিধাননগর এমপি-এলএ আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্যই সাত সকালে তাকে আনা হয়। অবশ্য শুনানি শেষ হওয়ার পরেই তিনি সংশোধনাগারে চলে গিয়েছিলেন।
আসানসোল সংশোধনাগারে ফিরে আসার পরই একের পর এক প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে থাকেন অনুব্রত বাবু। প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন গরুপাচার কান্ড নিয়ে এখনই তিনি কিছু জানাতে চান না, ভবিষ্যতে সব বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন। পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের ইডির তলব নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বেশ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার দিন অনুব্রতকে এমপি এমএলএ আদালতে নিয়ে আসার সময় ছোট্ট একটি শব্দকে কেন্দ্র করে আবার রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনি ব্যাপক শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন সেটাকে নিয়ে আবার চর্চা শুরু হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গোরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির পর এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত।
২০১০ সালের একটি মামলার জন্যই বৃহস্পতিবার সকালবেলায় অনুব্রত মণ্ডল কে নিয়ে আসা হয় এমপি এমএলে আদালতে। মামলাটির ক্ষেত্রে অবশ্য দেখা যায়, ২০১০ সালে ঘটে যাওয়া মঙ্গলকোটে বিষ্ফোরনের সময় চার্জসিটে অনুব্রতর নাম রয়েছে।
এরপরই জেল থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রতকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘সামনেই তো পঞ্চায়েত ভোট। কেমন হবে সেই পঞ্চায়েত ভোট? দিদিকে কিছু বলবেন?’ সাংবাদিকের সেই প্রশ্নের জবাবেই অনুব্রত মণ্ডলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, ‘ব্যাপক’। যা নিয়েই শুরু হয়ে যায় জোরকদমে জল্পনা। তবে, অনুব্রত মণ্ডল কীসের ইঙ্গিত দিলেন সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।