বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু নেতা, বিধায়ক, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক। এরই মধ্যে গতকাল অর্থের বিনিময়ে চাকরি নেওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে।
সূত্রের খবর, ধৃত ৪ শিক্ষকের নাম জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল, সাইগার হোসেন ও সিমার হোসেন। এই চারজনই টাকা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal)। অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিরুদ্দিন শেখ দেন সাড়ে ৫ লক্ষ, সৌগত মণ্ডল দেন সাড়ে ৫ লক্ষ। সাইগার ও সিমার আবার দুই ভাই। তারাও চাকরি পেতে সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ দেন।
সব মিলিয়ে এই ৪ জনের কাছ থেকে মোট ২২ লক্ষ টাকা পান তাপস। জানা গিয়েছে তাপসের কাছ থেকে সেই টাকা পৌঁছয় কুন্তল ঘোষের কাছে। আবার কুন্তল মারফত সেই টাকা পৌঁছে গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠর কাছে। এবার সেই টাকা এর পর কোথায় হালবদল হয়েছে তার কিনারা করতে চলছে তদন্ত।
প্রসঙ্গত গতকাল আদালতের সিদ্ধান্তে গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেক শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনার যে অভিযোগ ছিল তা সিবিআই এর কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন ওই অযোগ্য শিক্ষকদের প্রত্যেকেই।
আরও পড়ুন : এবার পশ্চিমবঙ্গের এই সাত ডিস্ট্রিক্ট ভেঙে হবে আরোও নতুন জেলা! বড় নির্দেশ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর
৭ই আগস্ট, সোমবার, আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে তাদের হাজিরা দেন ওই শিক্ষকরা। মামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারক মন্তব্য করেন, ‘এরাই সেই লোক, যারা টাকা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো লোকেদের কাছে গিয়েছিলেন। এদের জন্যই এতগুলি মানুষ ভুগছে।’ আগামী ২১ অগস্ট পর্যন্ত ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পাশেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের চাকরির দুর্দান্ত সুযোগ, শুরু হল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই ৪ শিক্ষককে এই মামলায় সাক্ষী করে সিবিআই। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয় আদালত। এরপরই ওই অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়।