বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামমন্দির উদ্বোধনের পর থেকে এই দেশ জুড়ে চর্চা চলছে তুঙ্গে। ২০২৪ সালে বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তূপে তৈরি হয় হিন্দুদের “রাম মন্দির” যার উদ্বোধন হয় ২২ জানুয়ারি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই আমজনতার জন্য খুলে যায় রামমন্দিরের দরজা। এবার সেই অযোধ্যায় তৈরি হবে মসজিদ।
সূত্রের খবর, মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর প্রথম ইট মক্কা থেকে এসে পৌঁছেছে অযোধ্যাতে। মুম্বইয়ের একটি ভাটিতে তৈরি হয় ইটগুলি। তারপর পাঁচজন ভক্ত এসে ইট গুলি নিয়ে যান মক্কায়। তারপর মক্কায় ইটগুলি পবিত্র শোধন প্রক্রিয়া করা হয়। এই ইটের বৈশিষ্ট্য হলো ইটগুলি তৈরি করা হয়েছে কালো মাটি দিয়ে। শুধু তাই নয়, গিল্টে মসজিদের নাম এবং কোরানের অনুচ্ছেদ খোদাই করা হয়েছে।
আরোও পড়ুন : বয়স মাত্র ২ মাস! জন্মের পর এই প্রথম দেখা মিলল ইয়ালিনির, মেয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনলেন শুভশ্রী
১২ মার্চ রমজান ঈদের পর অযোধ্যায় ধন্নিপুরে এইগুলি নিয়ে যাওয়া হবে। বর্তমানে ইট গুলি আছে মসজিদ মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচার ফাউন্ডেশনের সদস্য হাজি আরাফাত শেখের বাড়িতে। পরে এখান থেকে ইট গুলি মসজিদের উদ্যেশে যাত্রা করা হবে। মসজিদ কমিটি বলেছে যে এই মসজিদের জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন।
আরোও পড়ুন : ৭ দিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ,গায়ে ঢালা হত গরম ডাল! দিল্লীতে নারকীয় অত্যাচার দার্জিলিয়ের তরুণীকে
তিনি বলেছেন, “পীর বা পবিত্র ব্যক্তিরা ইটগুলি নিয়ে বিশাল মিছিলে পায়ে হেঁটে কুরলা থেকে মুলুন্ড অবধি যাবেন। এরপর ইটগুলি ছয়দিনের সড়কপথে লখনউ এবং অবশেষে ধন্নিপুরে যাবে। নামাজের জন্য প্রতি ৩০০ কিলোমিটার যাত্রায় একটি বিরতি থাকবে।ইটগুলি মক্কার নিকটবর্তী জ্যাম জ্যাম ঝর্ণা থেকে এবং মদিনায় আতর দিয়ে পবিত্র জল দিয়ে ধোয়া হয়।”
মসজিদের নতুন নাম হবে ধন্নিপুরে নবীর নামানুসারে “মসজিদ মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ।” তিনি সুফি সাধক সরকার পীর আদিলের একজন বংশধর। উঁনার সমাধি কর্ণাটকের বিজাপুর গোল গুম্বাদের কাছে আছে। এই মসজিদটি গড়ে তোলা হচ্ছে বাবরি মসজিদের স্থান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এই নতুন মসজিদটিতে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতিনিধিত্বকারী পাঁচটি মিনার থাকবে – কলমা (শপথ), নামাজ (প্রার্থনা), হজ (মক্কার তীর্থযাত্রা), যাকাত (দান), এবং রোজা (উপবাস)।
ওয়েবসাইটে QR কোড থাকবে যা মসজিদ নির্মাণের অনুদান দাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। এই প্রসঙ্গে হাজি আরাফাত শেখ বলেন, ‘মসজিদ কমপ্লেক্সের অংশ হিসাবে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেমন একটি ক্যানসার হাসপাতাল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম এবং একটি নিরামিষ রান্নাঘর। দাতারা এই প্রকল্পগুলির মধ্যে, যেটাতে খুশি অনুদান করতে পারবেন। অনুদানের জন্য QR কোডের পরিষেবা স্বচ্ছ থাকবে।’