হিন্দু ধর্মে বলা হয়, মানুষ জন্ম শ্রেষ্ট জন্ম এবং এই জন্ম শুধুমাত্র নিজের ভোগ বিলাস করার জন্য নয়। মানুষ জন্মের মূল যে লক্ষ হওয়া উচিত তা হলো মোক্ষ লাভ। আর মোক্ষ লাভের জন্য অনেক ধরনের উপায় রয়েছে। যার মধ্যে একটা উপায় হলো নিঃস্বার্থভাবে জীবজগতের সেবা করা।
জানিয়ে দি, মোক্ষ লাভের বিষয়টির আলোচনা করতে হলে তা বিশাল। তবে সহজ ভাষায় বললে মোক্ষ লাভের অর্থ হলো আত্মা অর্থাৎ লাইফ এনার্জিকে পরমপিতা পরমআত্মার সাথে জুড়ে দেওয়া।এর জন্য হিন্দুদের মধ্যে সেবা ভাব ও সেবা ধর্মের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়। অযোধ্যায় রামমন্দির হওয়ার সাথে সাথে এখন রামভক্তরা মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার কাজে নেমে পড়েছে।
অযোধ্যার (Ayodha) রামলালা মন্দিরের (Ram mandir) ঠিক বাইরেই শুরু হয়েছে রাম রান্নাঘর। পাটনার মহাবীর মন্দির ট্রাস্ট আমভা মন্দিরে এই রান্নাঘরটি শুরু করেছে। অযোধ্যায় ভগবান রামকে দেখতে আসা লোকেরা বিনা মূল্যে খাবার পাবেন। সম্প্রতি, আচার্য কিশোর কুনাল বলেছিলেন যে রাম রান্নাঘরটি অযোধ্যাতে শুরু হতে চলেছে। এর জন্য ৬০ কুইন্টাল গোবিন্দ ভোগ এবং অন্য চাল অযোধ্যাতে পাঠানো হয়েছে।
কুনাল বলেছিলেন যে সমস্ত চাল কেমুর (বিহার) এর মোখরি গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ভগবান রামের রান্নাঘর এবং ভোগের পরিষেবা অবিচ্ছিন্নভাবে চলবে। তিনি বলেছিলেন যে, অযোধ্যার প্রধান পুরোহিতের সাথে এবিষয়ে কথা হয়েছে।কুণাল বলেন যে বিহারের সীতামারীতে ইতিমধ্যে সীতা রান্নাঘর চলছে।
এখানে দিনে 500 জন এবং রাতে 200 জন লোককে বিনা মূল্যে খাওয়ানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় রাম রান্নাঘরটি অযোধ্যাতেও শুরু হতে চলেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন এক হাজার লোক খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরে, রাম ভক্তদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার ভিত্তিতে, আরও বেশি লোকের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।