বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্থল বন্দর হয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা। ভারতে প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডিমেড পোশাক রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রবন্দর দিয়েই করতে হবে। শনিবার নয়াদিল্লির এই ঘোষণায় কার্যত হাহাকার পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্যবসায়ী মহলে। ভারতের এক চালে কোটি কোটি টাকা খুইয়ে অচল হতে বসেছে বাংলাদেশের রপ্তানি।
ভারতের সিদ্ধান্তে বিপুল ক্ষতি বাংলাদেশের (Bangladesh)
শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। পোশাক থেকে খাবার, একগুচ্ছ বাংলাদেশি পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আর প্রবেশ করবে না। তবে চাইলে কলকাতা এবং মুম্বইয়ের সমুদ্র বন্দর দিয়ে রপ্তানি করতে পারে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় ঝটকা খেয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য।
কত টাকা ক্ষতি হল: গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হতে চলেছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। তাদের প্রায় ৪২ শতাংশ রপ্তানির সমান এই টাকার অঙ্ক। অবশ্য ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নিজেদের দোষেই এই বিপদ ডেকে এনেছে বাংলাদেশ। বা বলা ভালো, মহম্মদ ইউনূসের বাড়াবাড়ির জেরেই তাদের গোটা দেশকে ভুগতে হচ্ছে ফলাফল।
আরো পড়ুন : কোলে বসিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ পুলিশের
কেন এই সিদ্ধান্ত ভারতের: মাস খানেক আগেই চিন সফরে গিয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলি পাহাড় ঘেরা। সমুদ্র পথে বাণিজ্যের রাস্তা নেই তাদের। এদিকে বাংলাদেশকে ‘সমুদ্র পথের রাজা’ বলে ঘোষণা করে চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটানো নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন ইউনূস। তার জেরেই ভারতের রোষের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর শুধুমাত্র ভারতেই বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে পোশাক সহ অন্যান্য পণ্য পাঠায় বাংলাদেশ। এভাবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে পড়শি দেশ। সেই পথ এবার বন্ধ হতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চিনের আগ্রাসী মনোভাবকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে GTRI এর প্রতিবেদনে।