চার হাত ও চার পা বিশিষ্ট কনজয়েন্ট টুইন শিশুর জন্ম বর্ধমানে, দেখেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের

Published on:

Published on:

Bardhaman a strange baby born with four arms and four legs doctor shocked

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এক মাথা, চার হাত এবং চার পা এমনই অদ্ভুত দর্শন এক শিশুর জন্মের পর শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) ভাতারে (Bhatar)। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় কনজয়েন্ট টুইন (Conjoined twins) শিশু বলে। সূত্রের খবর শিশুটি জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত বিরল এক ঘটনা। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন প্রতি দুই লক্ষে মাত্র একজন শিশুর এমন জন্ম হয়।

বর্ধমানে এক মাথা, চার হাত ও চার পায়ের অদ্ভুতদর্শন শিশুর জন্ম (Bardhaman)

বর্ধমানে, এক মাথা, চার হাত ও চার পায়ের অদ্ভুতদর্শন শিশুর জন্ম হয়। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। সূত্রের খবর ১৯ বছরের গর্ভবতীকে বাঁচাতে ২০ সপ্তাহের মাথায় অস্ত্রোপচার করে প্রসাব করান চিকিৎসক। তারপর এই নবজাতককে দেখে চমকে ওঠেন নার্সিংহোমের কর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা।

সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নিল এক মাথা-চার হাত ও চার পা বিশিষ্ট অদ্ভুতদর্শন শিশু। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় কনজয়েন্ট টুইন বা সংযুক্ত যমজ বা সিয়ামিজ যমজ। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ওই ধরনের শিশুর অস্তিত্ব ধরা পড়লে পশু থেকে বাঁচাতে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের মাথায় অস্ত্র প্রচার করে প্রসব করান বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র গাইনি সার্জেন ড. কৃষ্ণপদ দাস। এই বিষয়ে তিনি জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রসূতি সুস্থ রয়েছে। পাশাপাশি ডাক্তার আরও জানান, ওই প্রসূতিকে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

 Bardhaman a strange baby born with four arms and four legs doctor shocked

আরও পড়ুন: বর্ষা আসতেই বাড়ছে র‍্যাশ-ব্রণোর সমস্যা? ঘরোয়া এই টোটকায় জাদুর মতন কাজ হবে, জানুন

জানা যায়, এই ঘটনার পর নার্সিংহোমের ম্যানেজার বাপি পাকড়ে বলেন, ‘নার্সিংহোমের শুরু থেকে আমি এখানে কাজ করছি। কিন্তু এমন আকৃতির শিশুর জন্ম হতে কখনো দেখিনি।’ পাশাপাশি চিকিৎসকরা জানান, এই ধরনের ঘটনা মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকায় এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যায়। আর এই ধরনের প্রায় অর্ধেক শিশু মৃত জন্মগ্রহণ করে। তবে বাকি এই ধরনের শিশুর মধ্যে এক- তৃতীয়াংশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে মারা যায়।