বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যতো এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতারণার (Fraud সংখ্যা। এমনকি, প্রতারকরা প্রতারণার জন্য অবলম্বন করছে নিত্যনতুন পদ্ধতি। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই বেশ বজায় রেখেই এবার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কানপুরে (Kanpur) একটি গ্যাং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) ভাড়া নিয়ে কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এবার ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে।
সামগ্রিকভাবে প্রায় ১২০০ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এইভাবে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে ওই চক্রটি। এক্ষেত্রে প্রতারকরা সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিত। এরপর তারা ওইসব অ্যাকাউন্টে প্রতারণার টাকা ট্রান্সফার করত। পরবর্তীকালে যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হত তাদেরকে কিছু টাকা দিয়ে দিত প্রতারকরা। ইতিমধ্যেই ভাড়ায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে প্রতারণাকারী এই চক্রটি কানপুর থেকে ধরা পড়েছে।
পাশাপাশি, এই বিষয়ে বেঙ্গালুরুতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরে, বেঙ্গালুরু পুলিশ কোহনা থানার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সহযোগিতায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পুরো বিষয়টিই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ।
এইভাবে সামনে এল পুরো বিষয়:
পুলিশ একটি তথ্য পেয়েছিল যে, গত ১৭ নভেম্বর, ২০২৩-এ হালসি রোডে অবস্থিত ICICI ব্যাঙ্কে একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা জমা হয়। ওই টাকার মধ্যে ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে কোহানা থানার পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। তারপরেই শুভম তিওয়ারি এবং শিবম যাদব নামে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গেছে যে, তারা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টধারীদের OTP পিন চেয়ে প্রতারণা করে এবং জালিয়াতির টাকা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। এরপরে, তারা ভাড়া নেওয়া সেভিংস অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ স্থানান্তর করত। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,২০০ জনের সেভিংস অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে জালিয়াতি করে টাকা পাচারের কাজ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: শাপে বর! ইউরোপে ডিজেল ঘাটতিতে ব্যাপক লাভবান ভারত, লাফিয়ে বাড়ছে রপ্তানি, প্রকাশ্যে বড় তথ্য
অভিযুক্তদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়:
এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, কোহানা থানার বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ স্টেশন বিদ্যারণ্য থেকে একটি ফোন পাওয়ার পরে জানতে পারে সেখানে এক মহিলার কাছ থেকে ওটিপি চেয়ে ৪,২৪,০০ টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বেঙ্গালুরু পুলিশ কানপুরে পৌঁছে উভয় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাদের বেঙ্গালুরু নিয়ে যায়। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে, যাদের অ্যাকাউন্টে জালিয়াতির টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কি না। কারণ টাকা ট্রান্সফার করার জন্য তারা তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিত। এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে, তদন্ত করা হবে।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…