ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে ‘ভুল প্রচার’-এর অভিযোগ, পেন্টাগনের রিপোর্ট ঘিরে পাল্টা আক্রমণ বেজিংয়ের

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পেন্টাগনের সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারত-চিন (China) সীমান্ত পরিস্থিতি এবং চিন-পাকিস্তান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে করা দাবি ও বিশ্লেষণকে তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা জানিয়েছে চিন। বেজিংয়ের অভিযোগ, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এই রিপোর্টে চিনের প্রতিরক্ষা নীতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ওয়াশিংটন নিজের সামরিক আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে।

ভারত-চিন (China) সীমান্ত নিয়ে ভুল প্রচার করার অভিযোগে পেন্টাগনের বিরুদ্ধে সড়ক বেজিং

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “পেন্টাগনের এই রিপোর্ট চিনের প্রতিরক্ষা নীতিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে এবং আমেরিকার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার অজুহাত খুঁজছে।” তিনি স্পষ্ট জানান যে চিন এই রিপোর্টের সঙ্গে একমত নয় এবং এর তীব্র বিরোধিতা করে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার পথেই অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন:বিষ্ণুমূর্তি ভাঙার পরেই শুরু বিতর্ক! বয়কটের ডাক উঠতেই কী সাফাই দিল থাইল্যান্ড?

একই সুরে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাং শিয়াওগাং রিপোর্টটির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন যে বছরের পর বছর এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তাঁর অভিযোগ, চিনের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং দেশটির সামরিক আধুনিকীকরণকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিত্রিত করে আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ঝাং এই রিপোর্টকে ভৌগোলিক রাজনীতির পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যা দেন।

পেন্টাগনের ‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না ২০২৫’ শীর্ষক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে চিন ভারতের সঙ্গে এলএসি বরাবর উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে যাতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা রোধ করা যায়, পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। রিপোর্টে পাকিস্তানে চিনের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল, যাকে ঝাং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।

Beijing blamed Pentagon report of spreading 'misinformation' on India-China border.

আরও পড়ুন: ২০১৪ থেকে লঞ্চ হয়েছে ৩৪ টি দেশের জন্য ৩৯০ টি স্যাটেলাইট, ISRO-র মাধ্যমে স্পেস মার্কেটে ভারতের দাপট

ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে লিন জিয়ান দাবি করেন যে বেজিং দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ককে একটি কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। যোগাযোগ বৃদ্ধি, পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা এবং মতপার্থক্য যথাযথভাবে সামলানোর মাধ্যমে স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়তে চিন আগ্রহী বলে তিনি জানান। তিনি দাবি করেন যে সীমান্ত পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। রিপোর্টে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলোকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।