‘আমার অবসরের জন্য অনেকে অপেক্ষা করছে’, ভরা এজলাসে কাদের নাম নিলেন বিচারপতি?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার ফের কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে তোলপাড়। এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সন্দেহজনক নেতাদের তালিকা আদালতে দিল সিবিআই (CBI)। যে তালিকা দেখে এজলাসে বসেই বিচারপতির মন্তব্য, “এরা তো মহাপুরুষ! কবে জেরা করবেন? ”

তোলপাড় করা তালিকা দিয়ে আদালতে সিবিআই জানায়, দুর্নীতিতে যুক্ত প্রত্যেকেই যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং জন প্রতিনিধি, বিধায়ক, কর্পোরেটর। আর সেই তালিকা দেখে খোদ বিচারপতির চক্ষু চড়কগাছ। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন “এরা তো মহাপুরুষ! কবে জেরা করবেন? লোকসভা ভোট মিটে গেলে!”

এর উত্তরে সিবিআই বলে, ”না স্যার।” ক্ষুব্ধ বিচারপতি পাল্টা বলেন, ”আমার অবসরের জন্য অনেকে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি কখনই অবসরে যাব না। মাঝে-মাঝে আমার মনে হয় একটা পদযাত্রা করি। হাইকোর্টের নিচে সূর্য সেনের মূর্তি থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত। কিছুই বলব না শুধু হাঁটব। কী সব চলছে চারিদিকে।” CBI-র উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “আপনারা তো সেই কোর্টকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের শক্তিবৃদ্ধি! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়বে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, বিরাট আপডেট

শুধু তাই নয়, এদিন ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সিবিআইয়ের যোগসূত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বলেন, “একটা অভিযোগ শুনতে পাচ্ছি সিবিআই আধিকারিক এবং মানিক ভট্রাচার্যর মধ্যে একটা বোঝাপড়া হয়ে গেছে যে তাকে বেশি জিজ্ঞসাবাদ করা হবে না।”

high court

আরও পড়ুন: বৃষ্টির ঝোড়ো ব্যাটিং! বিশ্বকর্মা পুজো থেকে গণেশ চতুর্থী সবই মাটি, কলকাতা সহ ৭ জেলায় সতর্কতা

জাস্টিস গাঙ্গুলির কথায়, ”সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্য একটা রক্ষাকবচ নিয়ে আসুক আমরা আর কিছু করব না। এমনই একটা বোঝাপড়া হয়ে আছে নাকি! সন্দেহই হচ্ছে।” বিচারপতির মন্তব্য, “কড়া তদন্ত করতে হবে। পাখির পালকের ছোঁয়া দিয়ে তদন্ত চলবে না।” মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সিবিআই তদন্তের কেস ডায়েরি ও প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সিবিআই তদন্তের সিডি তলব করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর