বাংলা হান্ট ডেস্ক : পদ্মশ্রী পেলেন কর্ণাটকের (Karnataka) বিশিষ্ট বিদরি হস্তশিল্পী রশিদ আহমেদ কাদরি। কিন্তু, তারপরই তাঁর কথা শুনে কিছুটা অবাকই হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হেসেও ফেললেন তা শুনে। গতকাল বুধবারই পদ্মশ্রী সম্মান (Padmashri Award 2023) পেয়েছেন রশিদ কাদরি। বিশিষ্ট ওই সম্মান পেয়ে শিল্পী যা বলেছেন তাতে হতবিহ্বল অনেককেই।
পদ্ম সম্মান পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে শিল্পী রশিদ কাদির বলেন, ‘এই সম্মান পাওয়ার জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করেছি। ১২ হাজার টাকা খরচ করে আবেদন করেছি। ৫০টি রঙিন ছবি দিয়ে আমি আণার একটা প্রোফাইল তৈরি করেছিলাম। টানা ৫ বছর আমি এই সম্মান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিজেপি সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় এল তখন সব চেষ্টা বন্ধ করে দিলাম। কারণ আমার ধারনা ছিল বিজেপি মুসলিমদের কিছু দেয় না। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাকে ভুল প্রমাণ করেছেন। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
অনুষ্ঠান শেষ পদ্মসম্মান প্রাকদের সঙ্গে আলাপ পর্ব সারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহ। সেখানেও রশিদ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘ইউপিএ সরকারের আমলে বহুবার চেষ্টা করেছি। এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর সব চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ জানতাম বিজেপি মুসলিমদের কিছু দেবে না। আপনি আমাকে ভুল প্রমাণ করেছেন।’ রশিদের ওই কথা শুনে হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পরিচিত হন মহারাষ্ট্রের শিল্পী পরশুরাম কোমাজি, অসমের বিশিষ্ট সমাজকর্মী রামকুইঙ্গে জেমে সহ সকল পদ্ম সম্মান প্রাপকরা। মোট ১০৬ জন এবার পদ্ম সম্মান পেলেন। বুধবার এদের মধ্যে ৫২ জনকে ওই সম্মান তুলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৪৫ জন পেয়েছেন পদ্মশ্রী। ওড়িশার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অন্তরজামি মিশ্র ও দিল্লির বিশিষ্ট চিকিৎসক ঈশ্বরচন্দ্র ভার্মার হাতে সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্ম।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের আট পদ্ম সম্মান প্রাপকের মধ্যে রশিদ অন্যতম। ১৯৫৫ সালের ৫ জুন রশিদ এক বিদ্রি কারিগর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রশিদ তাঁর শিল্পকলার জন্য ১৯৮৪ সালে কর্নাটক রাজ্য পুরস্কার, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পুরস্কার এবং ১৯৯৬ সালে জেলা রাজ্যোৎসব পুরস্কারও পেয়েছেন।