বাংলাহান্ট ডেস্ক: অক্টোবরের শুরুতে দূর্গাপুজোও শুরু। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষনা করেছেন, তার এক মাস আগে থেকেই পুজো শুরু হয়ে যাবে বাংলায়। ইতিমধ্যেই টলি ও টেলিপাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীদের পুজোর উপহার পাঠাতেও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee)।
একটি হালকা বেগুনি রঙের পাঞ্জাবি এবং সাদা পাজামার ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। সঙ্গে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোর উপহারটি পাঠিয়েছেন। ধন্যবাদ দিদি। পুজো শুরু হল।’ সঙ্গে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকেও ট্যাগ করেছেন ভাস্বর।
কিন্তু কমেন্ট বক্সে একাধিক কটাক্ষ উড়ে এসেছে অভিনেতাকে লক্ষ্য করে। একজন লিখেছেন, ‘আপনি তো পুজোতে অনেক ভাল ভাল পোশাক কিনে পরতে পারবেন বা পরবেন। তাহলে আপনাকে না দিয়ে যারা পুজোতে জামাকাপড় কিনতে পারবেন না তাদের দিলে ভাল হত না?’ উত্তরে ভাস্বর লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই, আমিও তাদের দিই। আপনিও দেন তো?’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘গরীব বাচ্চারা যারা পুজোয় জামা জুতো পায় না, ছেঁড়া ফাটা পরে ঘুরে বেড়ায়, আইসক্রিম খাওয়ার পয়সা চায়, তারা ফ্যাব ইন্ডিয়া চেনে না, কিন্তু ভারতীয় তো। তাদের জন্য কী ভাবছেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তো আর ওনার ধারেকাছে যেতে পারবে না। আপনারা সেলিব্রিটিরা যদি একটু জানতে চান ভাই তো ভালো হয়।’ ভাস্বর স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন, নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে প্রতি বছর বাচ্চাদের জামাকাপড় কিনে দেন তিনি।
অনেকেই এমন কটাক্ষ করেছেন ভাস্বর তথা মুখ্যমন্ত্রীকেও। তবে অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়ে পালটা তোপও দেগেছেন তাঁর শুভাকাঙ্খীরা। তবে ট্রোলারদের বিশেষ পাত্তা দেননি ভাস্বর। আর কাউকে কোনো উত্তরও দেননি তিনি।
নিজের মায়ের নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে ভাস্বরের, অপর্ণা ফাউন্ডেশন। এর আগেও লকডাউন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ভাস্বর। কালীঘাট, সোনাগাছি সহ অন্যান্য জায়গাতে যৌনকর্মীদেরও সাহায্য করেছিলেন তিনি। পৌঁছে দিয়েছিলেন রেশন সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। পুজোর সময়েও যৌনকর্মীদের ও সেখানকার কয়েকজন বাচ্চাকে নতুন জামা দিয়েছিলেন ভাস্বর।