বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বর্তমান সময়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের (Indian Railways) যাত্রী সংখ্যা। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবং সামগ্রিক পরিষেবাতে আরও সহজ করে তুলতে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রেল। ঠিক এই আবহে এই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, এবার ভারত এবং ভুটান সরকার ২ টি নতুন রেল লাইনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই রেলপথগুলির মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৯০ কিলোমিটার। যার জন্য মোট বিনিয়োগ হবে ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি।
বড় পদক্ষেপ রেলের (Indian Railways):
রেল প্রকল্পটি এই ৪ টি শহরকে সংযুক্ত করবে: ইতিমধ্যেই এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, প্রকল্পটি আসামের কোকরাঝাড়কে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গের বানরহাটকে ভুটানের সামতসের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল,
এই প্রকল্প ভুটানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এছাড়াও, এই রেল (Indian Railways) নেটওয়ার্ক সাধারণ মানুষেরও সুবিধা এনে দেবে।
এই প্রকল্পের জন্য সেতু, রাস্তা এবং ওভারব্রিজের মঞ্জুরি মিলেছে: জানিয়ে রাখি যে, এই প্রকল্পের (Indian Railways) মধ্যে রয়েছে ২ টি বড় সেতু, ২৯ টি প্রধান সেতু, ৬৫ টি ছোট সেতু, ১ টি রোড ওভারব্রিজ, ৩৯ টি রোড আন্ডারব্রিজ এবং ২ টি ১১ মিটার দীর্ঘ ভায়াডাক্ট। এগুলি কঠিন ভৌগোলিক পরিস্থিতিতেও রেল সফরকে নিরাপদ এবং সহজ করে তুলবে।
“ভারত-ভুটান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে”: এই প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি প্রকল্পটির বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন যে, ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেল (Indian Railways) যোগাযোগ স্থাপন একটি নতুন বড় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। ভারত ও ভুটানের মধ্যে এটি আস্থা, এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়ার সম্পর্ক। যেটি সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত বন্ধন, জনগণের সঙ্গে জনগণের বিস্তৃত যোগাযোগ এবং আমাদের যৌথ উন্নয়নমূলক ও নিরাপত্তা স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই সম্পর্কগুলি সর্বোচ্চ স্তরে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
আরও পড়ুন: বড় খবর! এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগের জন্য জারি বিজ্ঞপ্তি, কীভাবে করবেন আবেদন?
জানিয়ে রাখি যে, গত বছর ২০২৪ সালের মার্চ মাসে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভুটান সফরে গিয়েছিলেন, তখন তাঁকে “অর্ডার অফ দ্য ড্রুক ইয়ালপো” সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। এটি ভুটানের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান। এদিকে, ভুটানের রাজা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত ভারতে আসেন।
আরও পড়ুন: God’s Plan! এশিয়া কাপে এক বল খেলেই তৈরি করেছেন ইতিহাস, ফের সবাইকে চমকে দিলেন রিঙ্কু
ভুটানের রাজা চলতি বছরে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে এসেছিলেন এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে রাজগীরে ভুটানি মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। উল্লেখ্য যে, ভারত সরকার ভুটানের উন্নয়নমূলক সহায়তার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে এবং ওই দেশের আধুনিকীকরণে, বিশেষ করে দেশের পরিকাঠামো এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।