অমর্ত্য সেনকে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া জমির কাগজ অপ্রাসঙ্গিক! ফের বিস্ফোরক উপাচার্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরে বারংবার বিতর্কের শিরোনামে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amrtya Sen)। জমি জট থেকে নোবেল বিতর্ক, সবেতেই জড়িয়েছে তাঁর নাম। এবার সেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) জমি বিতর্কে (Plot Controversy) যুক্ত হল নতুন মাত্রা। সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নোবেলজয়ীকে জমি সংক্রান্ত যে কাগজ, নথি দিয়েছেন, এবার তার প্রাসঙ্গিকতা তুলে প্রশ্ন করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)।

প্রসঙ্গত, জমিজট বিতর্কের আবহেই সোমবার অর্মত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’তে যান মুখ্যমন্ত্রী। অর্থনীতিবিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে বাড়ির জমি সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেদিন সকালে বোলপুরে বিএলআরও অফিসে পৌঁছান মমতা, এক সাংবাদিক বৈঠকও ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিঁনি বলেন, ‘জমির কাগজ নিয়ে এসেছি। তথ্যের উপর ভিত্তি করে সত্য বলতে চাই। জমির প্রকৃত নথি অমর্ত্য সেনকে তুলে দিলাম। ১৯৮৪-এর পরের ল্যান্ড রেভিনিউ রিপোর্ট অনুযায়ী, যে জমিটা লিজে দেওয়া হয়েছিল তার পরিমাণ ১.৩৮ একর।’ অর্থ্যাৎ মমতা বোঝাতে চেয়েছেন নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর দাবি ভূল।

অন্যদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে কাগজ দিছেন, তা প্রাসঙ্গিক নয় বলে মন্তব্য করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের রাস্তাতেই হাঁটতে চান বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন, তাতে তার বোঝা উচিৎ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ঠিক করে কেন্দ্রীয় সরকার।’ তার সংযোজন, ‘আমি নোবেল প্রসঙ্গে যা বলেছি, সেটা বিশ্লেষণ করেছি শুধুমাত্র। এছাড়া কিছুই না। যাচাই করে দেখলেই বোঝা যাবে আমি সঠিক বলছি।’ তার মতে ‘এই গোটা বিষয়ে ক্ষতি হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ও অমর্ত্য সেনের। আর কিছুই না।’

amartya sen

অন্যদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সরকারি তরফে জমির নথি হাতে পাওয়ার পর অমর্ত্য সেন বলেন, ‘যাঁরা আমাকে হঠাৎ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছেন, তাঁদের বলব তাঁদের বোধের উপরে আমরা যে খুব একটা আস্থা রয়েছে তা বলতে পারছি না। তাই এনিয়ে খুব বিশাল একটা ঝড় উঠছে তা বলা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না। বিষয়টিকে বড় করার কোনও ইচ্ছে আমার নেই।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে একটি জমির কিছু অংশ ছেড়ে দিতে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের লেখা ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য সেন জোর করে ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন। সেই নিয়েই শুরু জোরদার বিতর্ক। দীর্ঘ জমিজটের এই বিতর্কের জল আর কতদূর গড়ায়, সেটাই এবার দেখার বিষয়।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর