বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডিএ ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে সারা রাজ্যে। কেন্দ্রের সমান হারে দিয়ে দিতে হবে এমন দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছেন সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে পেনশনাররা। সরকারি কর্মচারীদের অসন্তোষ যখন তুঙ্গে উঠেছে সেই সময়েই ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ কর্মসূচিতে গিয়ে শিক্ষিকাদের তোপের মুখে পড়লেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
ঠিক কী ঘটেছিল? রবিবার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মদারাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঈশান চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা বকেয়া ডিএ সম্পর্কে কেন সরকার উদাসীন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। শিক্ষকদের ক্ষোভের আঁচ এসে লাগে বিধানসভার অধ্যক্ষের গায়েও। ক্ষুব্ধ শিক্ষিকারা বিমান বন্দোপাধ্যায়ের কাছে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রাপ্তির দাবি তোলেন।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষিকাদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি করলে সরকারের তরফে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু তাতে অবশ্য বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। এরপরেই অস্বস্তিতে পড়ে বড়সড় মন্তব্য করে বসেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
ডিএ ইস্যুতে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘ডিএ-র দাবি ন্যায্য হলেও আরও অন্যান্য স্তরের মানুষ রয়েছে। তাদের কথাও ভাবতে হবে। ডিএ সরকার দিতে চায়। কিন্তু, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ডিএ দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’
পাশাপাশি, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীদের। বিধানসভার কোনও কর্মচারী যদি এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে কর্মবিরতিতে যান, সেক্ষেত্রে তিনি কড়া পদক্ষেপ করবেন বলেও উল্লেখ করেন। এছাড়া রাজ্য সরকারের নির্দেশ অন্যান্য সরকারি অফিসের কর্মীদেরকেও মানতে হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। একইসঙ্গে, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ঈশান চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদেরও কাজে আসার অনুরোধ জানান তিনি।